মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: কাশ্মীরে বড় ধাক্কা খেল জেহাদি নেটওয়ার্ক। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার এক কুখ্যাত কমান্ডার-সহ দুই জঙ্গি। এর ফলে উপত্যকায় লস্করের ‘অপারেশন’ অনেকটাই ব্যাহত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ভারত সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা লন্ডনের]
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলা জেলায় সন্ত্রাসবাদীদের গোপন ডেরার সন্ধান পায় সেনাবাহিনী। তারপরই সেখানে অভিযান চালায় ফৌজ, আধাসেনা ও কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথবাহিনী। গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে বারমুলার মালওয়া এলাকা। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াইয়ে পর নিহত হয় লস্কর কমান্ডার ইউসুফ কান্তরো-সহ দুই জঙ্গি। কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, বদগাম জেলায় এক পুলিশকর্মী ও তাঁর ভাইয়ের হত্যার জড়িত ছিল নিহত লস্কর জঙ্গি। সেনাবাহিনীর এক জওয়ান ও নিরীহ মানুষের হত্যার নেপথ্যেও রয়েছে ওই সন্ত্রাসবাদী। এদিকে, সংঘর্ষে তিনজন জওয়ানও আহত হয়েছেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শোপিয়ান (Shopian) জেলার বদগামে খতম হয় অন্তত ৪ জঙ্গি (Terrorist)। যদিও ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি উলটে যায়। তাতে দুই সেনা জওয়ান প্রাণ হারানন। ওই এনকাউন্টারে নিহত জঙ্গিরা সকলেই লস্করের সদস্য ছিল। সম্প্রতি কাশ্মীরে ফের জঙ্গিদের উপদ্রব বেড়েছে। এবার উপত্যকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে জেহাদিরা মূলত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের টার্গেট করছে। উপত্যকার সংখ্যালঘু অমুসলিমরা রীতিমতো আতঙ্কিত।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) সন্ত্রাসমুক্ত করতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। একের পর এক খতম করা হচ্ছে জেহাদি কমান্ডারদের। গত জুন মাসে শ্রীনগরে নিকেশ করা হয় লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গি নাদিম আবরারকে। ফলে উপত্যকায় কার্যত কোণঠাসা জঙ্গিরা।