সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে ক্রমে বাড়ছে বেকারত্বের পরিমাণ। গত ছয় বছরে তা ভয়ংকর আকার নিয়েছে। এমন তথ্যই দিচ্ছে অজিম প্রেমজি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা পত্র। গবেষণা পত্রের দাবি, ২০১১-২০১২ থেকে ২০১৭-২০১৮ , এই ছয় বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে বেকারত্বের পরিমাণ।
গবেষণা পত্রটি লিখেছেন সন্তোষ মেহরোত্রা এবং জালাতি কে পরিদা। গবেষণা অনুযায়ী এই ছয় বছরে কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ। গবেষণা পত্রের দাবি, ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম বেকারত্বের পরিমাণ এত খারাপ জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে। বেকারত্বের পরিমাণ যে ভারতে বিগত কয়েক বছরে বেড়েছে তা নতুন কিছু নয়। যদিও প্রথাগত যে চাকরির হার সেটা দেখা যাচ্ছে স্বাভাবিকই রয়েছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে ক্ষুদ্র ও মধ্য মানের শিল্পের উপর নির্ভর করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের চাকরির বাজার। শতাংশের বিচারে এর পরিমাণ ৬৮ শতাংশ। সরকারি খাতেও দেখা যাচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক চাকরির হার ক্রমে বাড়ছে। গবেষণার দাবি, এটাই প্রমাণ করছে ভারতে চাকরির বাজার কতটা খারাপ জায়গায় পৌঁছাচ্ছে।
[আরও পড়ুন : রাফালে মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে]
চাষবাসের ক্ষেত্রে ২০১১ – ২০১২ থেকে ২০১৭ – ২০১৮ সালে কাজের পরিমাণ ৪৯ থেকে ৪৪ শতাংশে নেমে এসেছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে কাজের পরিমাণ ১২.৬ থেকে কমে ১২.১ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। গবেষকদের দাবি এই ক্ষেত্রে এই প্রথম চাকরি বা কাজের পরিমাণ কমেছে। নির্মাণ ক্ষেত্রেও চাকরির অবস্থা একইরকম। সেখানেও ব্যাপক হারে কাজ পরিমাণ কমেছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্স ফার্মের রিপোর্টে ২০১৯ সালের গোড়ার দিকে একটি তথ্য দিয়েছিল, সেই তথ্য অনুযায়ী ভারতের ৭৩ শতাংশ সম্পদ ভারতের উচ্চতম মাত্র ১ শতাংশ লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এই রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে ২০১৭ সালের শেষ পর্যন্ত ভারতের মোট সম্পদের ৫৮ শতাংশ ভারতের ১ শতাংশ মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল। নরেন্দ্র মোদীর আমলে আয় বৈষম্যের মাত্রা মারাত্মকভাবে বেড়েছে। ২০১৬ এর তুলনায় ২০১৭ সালে মাত্র ১ বছরে ভারতে ৭৩ শতাংশ কেন্দ্রীভূত হয়েছে মাত্র ১ শতাংশ বড়লোকের হাতে। বিমুদ্রীকরণের ফলে কার্যত উচ্চতম শ্রেণিদের আয় বহুগুণ বেড়েছে। অন্যদিকে নিম্নশ্রেণি আরও প্রান্তিক হয়েছে।
[আরও পড়ুন : শবরীমালায় মহিলাদের ভাগ্য ঝুলে সুপ্রিম কোর্টে, মামলা গেল বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চে]
The post বেনজির! বিগত ৬ বছরে কাজ হারিয়েছেন ৯ লক্ষ মানুষ appeared first on Sangbad Pratidin.