সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'আকাশের গায়ে' থুড়ি, মহাশূন্যে ভেসে থাকা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বিকট গন্ধ! এমন অপ্রত্যাশিত ও অবিশ্বাস্য ঘটনায় নভোশ্চররা নিজেরাই কার্যত স্তব্ধ হয়ে গেলেন। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে রাশিয়ার একটি রকেট গিয়েছিল মহাকাশ স্টেশনে। চালকহীন সেই মহাকাশযানের দরজা খুলতেই দুর্গন্ধে ভরে ওঠে চারপাশ। সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ান নভোশ্চররা তা বন্ধ করে দেন। স্বভাবতই এমন গন্ধ তাঁদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরে অবশ্য গন্ধ-রহস্যের উদঘাটন হয়। গোটা বিষয়টি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে নাসা।
গত ২১ নভেম্বর সকালে কাজাখস্তানের বৈকানুর কসমোড্রোম থেকে সয়ুজের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল একটি মহাকাশযান। তাতে মূলত খাদ্য ও প্রয়োজনীয় রসদ পাঠানো হয়েছিল। সোমবার ২৩ নভেম্বর সকালে সেটি স্পেস স্টেশনে পৌঁছয়। মহাকাশযানের লক খোলামাত্রই অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয় রুশ নভোশ্চর ইভান ভাঙ্গার ও আলেকজান্ডার গর্বুনভের। স্পেসক্রাফ্ট থেকে দুর্গন্ধ বেরচ্ছে, তার মধ্যে থাকা জিনিসপত্রে ফোঁটা ফোঁটা জলবিন্দু! সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশযানের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এমন অদ্ভুতূড়ে বিষয় জানানো হয় নাসায়। তথ্যতালাশ করে নাসা জানায়, দুর্গন্ধ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এর পর নাসার পরামর্শমতো কয়েকদিন পর ফের ওই রুশ মহাকাশযানের দরজা খোলা হয়। তার আগে স্পেস স্টেশনের 'এয়ার স্ক্রাবার' পদ্ধতি চালু করা হয় বায়ু বিশুদ্ধ করার জন্য। পাশাপাশি নভোশ্চর ইয়ান ভাঙ্গার ওই মহাকাশযানের ভিতরের ভেন্টিলেটর সিস্টেম পরিষ্কারও করে দেন। মনে করা হচ্ছে, রুশ পণ্যবাহী মহাকাশযানে থাকা সামগ্রী থেকে গ্যাস উৎপন্ন হওয়ায় ওই গন্ধ ছড়িয়েছে। তবে কি পাঠানো খাবারে পচন ধরেছে? তা নিয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করেছেন নভোশ্চররা। নিয়মিত স্পেস স্টেশনে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় রসদ পাঠানো হচ্ছে। তা একেবারে টাটকা এবং মহাকাশ স্টেশনে ব্যবহারের উপযোগী। ফলে নষ্টের কোনও প্রশ্ন নেই। কোনও কারণে হয়ত মহাকাশযানের ভিতরে বাষ্প জমে এমন ঘটনা ঘটেছিল।