সুব্রত বিশ্বাস: বৃহস্পতিবার রাত থেকে রবিবার, টানা তিনদিন শিয়ালদহ লাইনে ভোগান্তি হয়েছে যাত্রীদের। এমনকী ভিড়ে ঠাসা ট্রেন থেকে পড়ে প্রাণ গিয়েছে এক যুবকেরও। সম্প্রসারণের পর শিয়ালদহে প্ল্যাটফর্ম রবিবার বেলার দিকে খুলে দেওয়া হলেও মঙ্গলবারও ট্রেন চলাচলের বিপত্তি কাটেনি। শিয়ালদহ মেন ও বনগাঁ শাখায় আজও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। সকাল থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে ঢোকার মুখে পরপর ট্রেন দাঁড়িয়ে পরে। অফিস টাইমে যাত্রীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। রবিবার বিকালের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানিয়েছিল রেল। কিন্তু সোমবারের পর মঙ্গলবারও দুর্ভোগ থেকে নিস্তার নেই।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গড়ে চল্লিশ মিনিট করে বিলম্ব করছে ট্র্রেন। তার প্রভাব পড়ছে সব ট্রেনের উপর। রেলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, রবিবার বেলা ১২টা থেকে শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু দু'দিন কেটে গেলও দুর্ভোগের চিত্রটা একই রকম থেকে গিয়েছে। এদিন সকাল থেকে শিয়ালদহ মেন শাখায় অসংখ্য ট্রেন দেরিতে চলছে। সময় মতো ট্রেন না আসায় প্রতিটি স্টেশনেই ভিড়ও বেড়েছে। বাদুড় ঝোলা অবস্থায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিধাননগর থেকে শিয়ালদহ পৌঁছতে চার-পাঁচবার করে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ছে।
[আরও পড়ুন: ফের সোনার দোকানে ডাকাতি, রানিগঞ্জের পর এবার ডোমজুড়]
একদিকে তীব্র দহন যন্ত্রণা, অন্যদিকে ট্রেন লেট। ভিড়ের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ বোধ করছেন। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা প্রশ্ন তুলছেন, তিনদিন ধরে রেল কী করল? ডিভিশন জানিয়েছে, সিগন্যালে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কাজ চলছে। নতুন সিস্টেমে সমস্যা মিটতে সময় লাগে। তবে এই সমস্যা কবে মিটবে তা হলফ করে জানাতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। ফলে বহু ট্রেন বাতিল হয়। আবার বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ দমদম জংশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বারাসত এবং কল্যাণীতে বদলানো হয়। এর পর রবিবার দুপুরে রেল জানায়, নির্ধারিত সময়ের আগেই শিয়ালদহ স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে। এমনকী রবিবার বেলা ১২টার পর থেকেই ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে, এমনটাই দাবিও করে কর্তৃপক্ষ। যদিও বাস্তবে সোমবার দেখা গিয়েছে, শিয়ালদহ লাইনে ট্রেন চলাচলের ছবিটা খুব একটা বদলায়নি। মঙ্গলবারও যাত্রীদের একইরকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে রেল জানিয়েছে, শিয়ালদহে পরিষেবা পুরো স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। সদ্য প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ শেষ হওয়ার ফলে স্টেশনে ট্রেন ঢোকা-বেরোনোয় সময় লাগছে।