সুব্রত বিশ্বাস: শনিবার রাতের ১০. ৫৫ মিনিটের আজমেঢ় শরিফ এক্সপ্রেস ছাড়বে রাত একটায়। যাত্রীরা এদিন রেলের এই ঘোষিত বার্তায় বেজায় বিরক্ত। বেশ কয়েক মাস ধরে এই ট্রেন লেটের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ভরা শীতের মরশুম এবং কুয়াশা। তাই ‘গোদের উপর বিষ ফোঁড়া’র মতো অস্বস্তি বাড়িয়ে বিলম্ব বাড়বে। এক আধ ঘণ্টা নয়, দশ, বারো, কুড়ি এমনকী সারা দিন এবং রাত পেরিয়ে যাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে। রেল পরিষ্কার বলে দিয়েছে, ট্রেন লেট হচ্ছে। বিলম্ব আরও বাড়বে।
[ঘিতে মিশছে রাসায়নিক-চর্বি, কীভাবে ভেজাল ধরবেন?]
রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, আগে যাত্রী সুরক্ষা, তারপর সময়ানুবর্তিতা। সুরক্ষার নামে ট্রেন লেট বেড়েই চলেছে। যার মধ্যে রয়েছে ফাটল মেরামত, আরআরআইয়ের কাজ, ইন্সপেকশন প্রভৃতির কাজ। রেলমন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলেন, ভারতে ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৭০ শতাংশ হয়েছে। হাওড়া, শিয়ালদহের ক্ষেত্রে শতাংশের মাত্রা আরও কম। ৬০-৬৫ শতাংশ। পূর্ব রেলের অপারেশন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতের মরশুমে কুয়াশার দাপটে দেরির জন্য ট্রেন লেট আরও বাড়বে। বিশেষত পশ্চিম ভারতে যাতায়াতকারী ট্রেনগুলি বেশি করে এই কোপে পড়বে। দেরির ঠেলায় বাড়বে ট্রেন বাতিলের সংখ্যা। যাত্রী হয়রানির পাশাপাশি ভাড়া ফেরতের ক্ষেত্রেও হয়রান হবেন যাত্রীরা।
[৩ বছরে নিজের ঢাক ‘পেটাতে’ ৩,৭৫৫ কোটি খরচ মোদি সরকারের!]
শুধু রানওয়ের দৃশ্যমানতা বজায় রাখলেই বিমান চলাচলের পরিবেশ অক্ষুন্ন থাকে। কিন্তু ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ইঞ্চিতে দৃশ্যমানতা থাকতে হবে। ট্রেন চলাচলের সম্পূর্ণ দায়িত্ব চালকের। তাঁকে আইন মেনে চলতে হয়। কুয়াশায় চালককে তাই বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। স্টেশনের স্টপ সিগন্যালের আগে চালকের ভিউ ফাইন্ডারের জন্য বেশ কিছু স্লিপারে রং করা হয়। যাতে চালক আগাম সতর্ক হতে পারেন। এজন্য ইঞ্জিনের কাচ, হেডলাইট সবই পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিটি স্টেশনে একটি করে ভিজিবিলিটি টেস্ট অবজেক্ট রাখা হয়। স্টেশন মাস্টার কুয়াশার সময় এই অবজেক্ট লক্ষ্য করেন। দেখার বা দৃশ্যমানতার কোনওরকম অসুবিধা হলেই তিনি গেটম্যানকে সতর্ক করেন। শীতকালে এতখানি সতর্কতার সঙ্গে ট্রেন চালাতে হয় চালককে। ফলে সুরক্ষার কাজের জেরে শীতের মরশুমে যাত্রীদের বিলম্বের যন্ত্রণা আরও বাড়বে বলে মত রেলকর্তাদের।
The post সুরক্ষা অগ্রাধিকার, তাই শীতের মরশুমে আরও দেরিতে চলবে ট্রেন appeared first on Sangbad Pratidin.