সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জিন্দেগি এক সফর হ্যায় সুহানা...। আর সেই সফরের একটা সময় মহিলারা নাকি নিজেকে খুঁজে পেতে চান। পরিবার-পরিজন থেকে দূরে নিজের সঙ্গে ভালো কিছু মুহূর্ত কাটাতে চান। যার আদর্শ সুযোগ হল সোলো ট্রিপে অর্থাৎ একাকী ভ্রমণ। গবেষণা বলছে, ৪৫ ঊর্ধ্ব নারীরা নাকি অনেক বেশি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় হন। সমাজ-দুনিয়ার পরোয়া না করে বেরিয়ে পড়েন অজানার উদ্দেশে। কিন্তু জীবনের এতগুলো বসন্ত পেরিয়ে কেন এই বয়সেই এমন ইচ্ছা বাড়ে নারী মনে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
অ্যাকোয়াটেরা অ্যাডভেঞ্চারাসের রিপোর্ট বলছে, ৪৫ ঊর্ধ্ব দশ হাজার মহিলার উপর একটি গবেষণা করে দেখা গিয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়। অ্যাকোয়াটেরা অ্যাডভেঞ্চারাস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা বৈভব কালা জানান, গত ৩০ বছরে ৫০ শতাংশ মহিলা অ্যাডভেঞ্চার সোলো ট্রাভেল করেছেন। কারণ ৪৫ বছর বয়সে মহিলার পারিবারিক দায়িত্ব অনেকটাই কমে আসে। সাধারণত তাঁদের সন্তানরাও এইসময় অনেকটা বড় হয়ে যায়। আর ঠিক এই সময়েই তাঁরা নিজেদের ভালোলাগা, ভালো থাকার বিষয়গুলিকে শান দিতে চান।
চল্লিশের পরে ভ্রমণ করার কারণ
অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ আর পাঁচটা ভ্রমণের থেকে আলাদা। এই ধরনের ভ্রমণ নিজেদের নতুন করে খুঁজে নিতে সাহায্য করে। চল্লিশের পর নারী নিজের জন্য অনেকটাই সময় বের করে নিতে পারে। ফলে তারা সোলো ট্রিপ বা গার্ল গ্যাংয়ের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে জীবনকে উপভোগ করতে। ট্রেকিং, হাইকিং, স্কাই ডাইভিং, বাঞ্জি জাম্পিং, রাফটিং আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে, সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায়।
নিজের নিরাপত্তাও জরুরি
সোলো ট্রিপ মানে আপনি সম্পূর্ণ একা। কোনও বিপদ হোক বা স্বর্গীয় মুহূর্ত, সবেতেই আপনি একা। তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাটা জরুরি। এই সাহসটা কম বয়সে খুব একটা তৈরি হয় না। তবে একান্তই একা না পারলে অনেকেই গার্ল গ্যাং তৈরি করেন অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণের জন্য।
ভ্রমণ আত্মদর্শনে সাহায্য করে
একঘেয়ে জীবন থেকে মুক্তি পেতে ভ্রমণপিপাসুরা ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ে। বিবাহবিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলতে কিংবা কর্মক্ষেত্রের চাপ কাটাতে একাই পাহাড়, সমুদ্র কিংবা জঙ্গলে পাড়ি দেয় মহিলারা। আসলে সোলো ট্রিপ তো নিজেকে নতুন করে চেনারই সুযোগ।