সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Jagannath Temple)সামনে ফের গুপ্তধনের সন্ধানে খননকার্য শুরু হয়েছে। পুরীর কালেক্টর, সাব-কালেক্টর ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এই খননকার্য চালাচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। মন্দিরের উলটো দিকে ইমার মঠের মোহান্তের দায়িত্বে থাকা নারায়ণ রামানুজ দাস এই গুপ্তধনের সন্ধান চালানোর আরজি জানিয়ে সরকারের কাছে চিঠি লিখেছিলেন।
দশ বছর আগেও অর্থাৎ ২০১১ সালে পুরীর মন্দিরের উলটো দিকে গুপ্তধনের সন্ধান মিলেছিল। সে সময়ে ওই ইমার মঠে মেরামতির কাজে যুক্ত দু’জন শ্রমিকের থেকে ৩০ কেজি ওজনের দুটি রুপোর বাঁট উদ্ধার হয়। পরের খননকার্য চালিয়ে বহু রুপোর জিনিস মেলে। জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদুয়ারের ঠিক সামনেই ইমার মঠ। পাঁচ একর জমির উপর তৈরি হওয়া এই ইমার মঠ থেকেই বারবার গুপ্তধনের সন্ধান মিলছে।
[আরও পড়ুন: উরিতে বন্ধ ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা, জঙ্গিদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি সেনার ]
শোনা যায়, ১৮৬৬ সালে দুর্ভিক্ষের সময় বহু মানুষকে এই মঠে খাওয়ানো হয়েছিল। জানা যায়, দানস্বরূপ অনেক বহুমূল্য ধাতু পেয়েছিল এই মঠ। ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মঠের তলা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ১৮ টন রূপো। ছিল মোট ৫২২ টি রুপোর বাট। সেই সময় ওই পরিমান রূপোর বাজারমূল্য ছিল ৯০ কোটি টাকা। এরপর ফের গুপ্তধন মেলে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। উদ্ধার করা হয়, ৪৫টি রুপোর বাট। এর ওজন ছিল ৩৫ কেজি।
ইতিহাসবিদদের কথায়, ওড়িশার দুর্ভিক্ষ নিয়ে লেখা একটি বইতে গুপ্তধনের সূত্রের খোঁজ পাওয়া যায়। বইয়ের লেখা অনুযায়ী, সেই সময় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। ব্রিটিশরা তখন সোনা, রুপোর বাট দিয়ে খাবার চাইত মঠ-মন্দিরে। তখনই সম্ভবত এই সব মূল্যবান ধাতু আসে মঠ কর্তৃপক্ষের হাতে।