সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই আশা জাগিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ‘ভ্যাকসিন’। এই ‘ভ্যাকসিনটি’র প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়াল আশানুরূপ ফল দিয়েছে। মেডিক্যাল জার্নাল Lancet জানিয়েছে, “অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি ChAdOx-1 টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ভাল ফল পাওয়া গিয়েছে। এই প্রতিষেধকটি সুরক্ষিত।” রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট ঘোষণা করল, সরকার অনুমতি দিলে শীঘ্রই ভারতেও শুরু হবে এই ওষুধটির হিউম্যান ট্রায়াল। শুধু তাই নয়, লাইসেন্স পেলে দেশের মাটিতেই বিপুল হারে এই ‘প্রতিষেধক’ তৈরি করতে চায় বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা।
সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) মঙ্গলবার জানিয়েছেন, অগস্টেই অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়ে যেতে পারে ভারতে। তিনি বলছেন,”এক সপ্তাহের মধ্যেই আমরা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করব। যখনই আমাদের অনুমতি দেওয়া হবে, তখনই আমরা ট্রায়াল শুরু করে দেব। এবং সেই সঙ্গে আমরা ভারতের মাটিতে বিপুল পরিমাণে প্রতিষেধক উৎপাদনও শুরু করব।” অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাকসিন তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)। শুরু থেকেই এই প্রতিষেধকটি নিয়ে আশাবাদী ছিলেন সেরামের কর্তা। Lancet-এর রিপোর্ট আসার পর তিনি আরও দ্রুত টিকাটির ট্রায়াল শুরু করতে চান। ল্যানসেটের রিপোর্ট সামনে আসার আগেই পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, অক্সফোর্ডের এই ওষুধটির প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল ভাল এসেছে। তৃতীয় পর্যায়ের ফলাফলের দিকে তাঁরা নজর রাখছেন।
[আরও পড়ুন: আশা জাগাল অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিন, দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালে মিলল সাফল্য]
উল্লেখ্য, গতকালই Lancet গবেষণাপত্রে অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ‘‘ChAdOx-1 সেই অর্থে তেমন কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি। এবং প্রত্যাশামতোই টিকাটি অ্যান্টিবডি এবং টি-সেলস তৈরি করেছে। অ্যান্টিবডির শরীরে প্রবেশ করা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করে। আর টি-সেলস অনেকটা ‘মেমরি চিপ’-এর মতো। অর্থাৎ টিকা প্রয়োগ করলে ওই ভাইরাসের সমস্ত বৈশিষ্ট্য টি-সেলস শরীরে ধরে রাখে। ফলে ভবিষ্যতে ফের সেই ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে ওই টি-সেলস সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ভাইরাসটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে। টিকার মাধ্যমে তৈরি অ্যান্টিবডি শরীরে দীর্ঘ দিন না থাকলেও টি-সেলস অনেক বছর ধরে শরীরে থেকে যায়।”
The post ‘শীঘ্রই ভারতেও শুরু হবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল’, ঘোষণা সেরাম ইনস্টিটিউটের appeared first on Sangbad Pratidin.