টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। গ্রেপ্তার তিন যুবক। অভিযুক্তরাও সকলেই আদিবাসী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়ার ছাতনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ছদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই ঘটনায় শারীরিকভাবে অসুস্থ কিশোরী। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছে নির্যাতিতা।
ওই কিশোরীর বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার বিকেলে সে পরিচিত এক যুবকের সঙ্গে জঙ্গলে গিয়েছিল। সেখানে ছিল আরও দুই যুবক। সেকথা অবশ্য আগে জানত না কিশোরী। অভিযোগ, প্রথমে পরিচিত যুবক ধর্ষণ করে তাকে। পরে আরও দুই যুবক তাকে ধর্ষণ করে। তিন যুবকের যৌন লালসার শিকার হয়ে জঙ্গল থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ বোধ করে নাবালিকা। পরিবারের লোকজনের একাধিক প্রশ্নের মুখে ভেঙে পড়ে সে। জঙ্গলে গণধর্ষণের কথা জানায়। এর পর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কিশোরী ছাতনা থানার দ্বারস্থ হয়।
[আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির ভোট পর্যালোচনা বৈঠকে গরহাজির শুভেন্দু, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা]
সনৎ মুর্মু, সঞ্জিৎ মুর্মু এবং মোহনলাল মুর্মুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। ওই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের শনিবার বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। তাদের ছদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। আইনজীবী লক্ষ্মীনারায়ণ গোস্বামী জানান, "তিন আদিবাসী যুবক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে। কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।" এই ঘটনায় আতঙ্কিত নাবালিকা। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সে।