ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গোয়ায় সংগঠনের খোলনলচে বদলে ফেলছে তৃণমূল (AITC Goa)। মহুয়া মৈত্রের পর এবার সৈকত রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক হিসাবে প্রাক্তন সাংসদ কীর্তি আজাদের নাম ঘোষণা করল এরাজ্যের শাসকদল। বুধবার তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কীর্তি আজাদকে দলের গোয়ার পর্যবেক্ষক করার সিদ্ধান্তে স্বীকৃতি দিয়েছেন। আগামী দিনে কীর্তির তত্ত্বাবধানেই গোয়ায় শক্তি বাড়ানোর লড়াই শুরু করতে চায় জোড়াফুল শিবির।
বিধানসভা ভোটের আগে আগে গোয়ায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক করা হয় মহুয়া মৈত্রকে (Mohua Moitra)। তাঁর সঙ্গে সহকারী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পান সুস্মিতা দেব (Susmita Deb) এবং সৌরভ চক্রবর্তী। ভোটের আগে টানা বেশ কিছুদিন গোয়াতে মাটি কামড়ে পড়েও ছিলেন মহুয়া। যদিও তাঁর চেষ্টা সত্ত্বেও বিধানসভা ভোটে সাফল্য পায়নি তৃণমূল। ভোটের পরই মহুয়াকে গোয়ার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারপর বেশ কিছুদিন হরিয়ানার নেতা অশোক তানওয়ার গোয়ায় তৃণমূলের কাজকর্ম দেখছিলেন।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার মায়ের সঙ্গে দেখা যোগীর, পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের ছবি ভাইরাল]
বস্তুত, গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পায়নি তৃণমূল (TMC)। তবে তাতে দমে যাচ্ছে না ঘাসফুল শিবির। ভোটের ফলপ্রকাশের পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তৃণমূল গোয়ার মানুষের জন্য আগামী দিনেও কাজ করে যাবে। সেই লক্ষ্যে সেরাজ্যে সংগঠন নতুন করে ঢেলে সাজাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। ইতিমধ্যেই গোয়ার রাজ্য কমিটি পুরোপুরি ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল। ভোটের পর বেশ কিছু নেতা দলও ছেড়েছেন। যার ফলে নতুন করে সংগঠন গড়ে তুলতে হবে কীর্তি আজাদকে (Kirti Azad)। সেটা বেশ বড়সড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে কীর্তির জন্য।
[আরও পড়ুন: হিজাব পরিহিতা ছাত্রীদের সরকারি ট্যাবলেট দিল না কলেজ! বিতর্কে যোগীরাজ্য]
দিন কয়েক আগেই গোয়ায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কিরণ কান্ডোলকর দল ছেড়েছেন। তাঁর সঙ্গে দল ছেড়েছেন রাজ্য কমিটির একাধিক সদস্য। যদিও পর পর দলত্যাগে বিচলিত নয় গোয়া তৃণমূল। সেরাজ্যে দলের সাংগঠনিক কাঠামো নতুন করে গড়া হবে বলে জানিয়েছে জোড়াফুল শিবির। তৃণমূল যে আগামী দিনেও গোয়ার মানুষের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে এরাজ্যের শাসকদল।