সুব্রত বিশ্বাস: নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ও তাঁর নিরাপত্তা কর্মী ও সমর্থকরা। তা নিয়ে তুঙ্গে অভিযোগ পালটা অভিযোগের পালা। এবার বিস্ফোরণের জন্য আরপিএফ কর্মীদের উদাসীনতাকে দায়ী করল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।
[আরও পড়ুন: দাম্পত্য অশান্তির জেরে স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি, প্রাণ গেল চার বছরের সন্তানের!]
মন্ত্রীর আসার কথা জেনেও স্টেশনে পড়ে থাকা ব্যাগ (যাতে বোমা থাকতে পারে) সরায়নি আরপিএফ বলে অভিযোগ। যাতে পা পড়ে বিস্ফোরণের সম্ভবনার কথা বলেছে দলীয় নেতৃত্ব। সরাসরি আরপিএফকে দায়ী করায় নড়ে বসেছে রেলও। মালদহ ডিভিশনের নিমতিতায় এই ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ। মালদহ ডিভিশনের সিনিয়র কমান্ড্যান্ট রাহুল রাজ জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। তবে রোডসাইড স্টেশন হওয়ায় সেখানে আরপিএফ পোস্ট বা আউট পোস্ট কিছুই নেই। তবে আরপিএফ জওয়ানরা ডিউটিতে থাকেন। ঘটনার সময় তৎপর ছিলেন তাঁরা। বিস্ফোরণের পর সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকার ব্যবস্থা করেছিলেন ওই জওয়ানরাই।
ঘটনার দিন নিমতিতা স্টেশনে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ভারচুয়ালি বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এজন্য সকাল থেকেই আরপিএফ ও আরপিএসএফ-এর ২৬ জন কর্মী ওই স্টেশনে মোতায়েন ছিলেন। বিকেল চারটের সময় সেই অনুষ্ঠানের পর রাত ১০.০৫ মিনিটে ডাউন তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেসে মন্ত্রী জাকির হোসেনের যাওয়ার কথা ছিল। ভিআইপি মুভমেন্টের কথা জানা ছিল আরপিএফের। সেই মতো তাঁরা তৎপর ছিল বলে আরপিএফের দাবি। রাত ৯.৫৫ মিনিটে চেকিংয়ের দায়িত্বে থাকা আরপিএফ কর্মী স্টেশন মাস্টারের কাছে ট্রেন ঢোকার সময় জানতে যান। তখনই সদলে চলে আসেন মন্ত্রী। এরপরই ঘটে বিস্ফোরণ। স্টেশনে উপস্থিত আরপিএফ কর্মীরা সক্রিয় হয়ে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করে দেয় বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
এদিকে আরপিএফ-এর স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তাঁরা সবসময় তৎপর ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার জিআরপির হাতে। কে বা কারা কোন জিনিস কোথায় রাখছে প্রথামিকভাবে তারাই খতিয়ে দেখবেন। বাড়তি ওজনের মাল নিয়ে স্টেশনে ঢুকলে সেই দায় আরপিএফ কর্মীদের। সমস্যা হলে জিআরপি,আরপিএফের কাছে চিঠি দিয়ে সাহায্য চাই। এদিন তেমন কোনও আবেদন করেননি। তবে সুরক্ষার দায় পুরোপুরি আরপিএফ এড়াতে পারে না। তাই তাঁরাও তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে।