স্টাফ রিপোর্টার: চলচ্চিত্র উৎসবের সিনেমা দেখানোকে কেন্দ্রে করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাসবিহারীতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হল প্রকাশ্য রাজপথে। মূলত, আলো নিভিয়ে পর্দায় ছবি দেখানোর ইস্যু নিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থকদের সঙ্গে সাংসদ মালা রায়ের সমর্থকদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়। ঘটনার জেরে একপক্ষ রাসবিহারী মোড় অবরোধ করে। দীর্ঘক্ষণ অবরোধ থাকায় দক্ষিণ কলকাতায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। মন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, মালা রায়ের ঘনিষ্ঠ মৃত্যুঞ্জয় নামের এক যুবক আমার জামার কলার ধরে টানাটানি করেছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে সাংসদ পালটা তোপ দেগে বলেছেন, “মন্ত্রীর লোকেরা এলাকার মহিলা ও যুবকদের নিজেই মারধর করেছেন। পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে।”
ঘটনার সূত্রপাত, ‘পাড়ায় পাড়ায় সিনেমা’ দেখানো নিয়ে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে। নিজের পার্টি অফিসের সামনে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরকে দিয়ে ‘প্রাক্তন’ ছায়াছবি দেখানোর ব্যবস্থা করেছিলেন শোভনদেব। তাঁর দাবি, “তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তর চিঠি দিয়ে অনুরোধ করায় এই ব্যবস্থা হয়েছিল। ওরাই পর্দা লাগিয়েছে, সিনেমাও দেখিয়েছে। আমরা আগেই পুরসভাকে চিঠি দিয়েছিলাম, ওই মঞ্চের আশেপাশে আলো ঘণ্টা তিনেকের জন্য বন্ধ করতে। কিন্তু সেই অনুরোধ মানা হয়নি। এরপর আমাদের কর্মীরাই দু’পাশের দু’টি আলো নিভিয়ে দেয়। তিন দফায় আলো জ্বালিয়ে দেওয়ায় রাজ্য সরকারের কর্মসূচি পালন করতে না পেরে চলে এসেছি।”
[ আরও পড়ুন: শীতের আমেজ তিলোত্তমায়, কলকাতার তাপমাত্রা নামল ২০ ডিগ্রিতে ]
যদিও কাউন্সিলর মালা রায় পালটা দাবি করে অভিযোগ করেন, “পুরসভার অনুমতি না নিয়েই এলাকার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পুরসভার তালা ভেঙে তিন-চারটি ফিউজ তুলে নিয়ে গিয়ে প্রতাপাদিত্য রোড, সাহানগর রোড, রাসবিহারির এসপি মুখার্জি রোড-সহ সমস্ত বড় রাস্তার আলো নিভিয়ে দিয়েছিল মন্ত্রীর লোকেরা।” গোটা এলাকা অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় বস্তিবাসী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছে, বিক্ষোভ দেখিয়েছে বলে দাবি সাংসদের। এই ঘটনার জেরে রাতে মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বুকে ব্যথা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি হন।
[ আরও পড়ুন: ছুটির দিনেও নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক, বুলবুল বিপর্যয়ের মোকাবিলায় আলোচনা ]
The post সিনেমা দেখানো নিয়ে শোভনদেব-মালা রায় দ্বন্দ্ব, উত্তপ্ত রাসবিহারী appeared first on Sangbad Pratidin.