নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: এবার সংসদেও পৌঁছে গেল ‘খেলা হবে’ (Khela Hobe) স্লোগান। বুধবার লোকসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানের সময় তৃণমূল (TMC) সাংসদদের মুখে ছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগান। ভোটের ময়দান, বিধানসভার পর এবার সংসদের অন্দরে পৌঁছে গেল তৃণমূলের এই জনপ্রিয় স্লোগান। তবে সংসদের অন্দরে দলীয় স্লোগান তোলার বিষয়টি ভালভাবে নিচ্ছেন না রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সংসদের অন্দরে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে তৃণমূল। সকল সাংসদকে উপস্থিত থেকে সংসদের দুই কক্ষেই বিজেপিকে কোণঠাসা করার পরিকল্পনা নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। মূলত পেগাসাস ইস্যুতে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছে তাঁরা। এদিনও লোকসভার অন্দরে পেগাসাস ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদেরা। ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করছিলেন তাঁরা। সেই সময় তৃণমূল সাংসদদের ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিতে শোনা যায়। ইতিপূর্বে, বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিধায়কদের হই হট্টগোলের সময় এই স্লোগান তুলেছিলেন তৃণমূল বিধায়করা।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের পর Tripura যেতে পারেন মমতাও, ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে উসকে গেল জল্পনা]
মাত্র কয়েকমাস আগে শেষ হয়েছে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। সেই সময় ‘খেলা হবে’ স্লোগান খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। সেই স্লোগানকে সামনে রেখে নতুন প্রকল্প আনছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী, রাজ্যজুড়ে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আগামী ১৬ আগস্ট রাজ্যজুড়ে পালিত হবে ‘খেলা হবে’ দিবস। রাজ্যের ক্লাবগুলিকে দেওয়া হবে ১০টি করে ‘জয়ী’ বল।
বঙ্গভোটের ময়দান থেকেই রাজ্যজুড়ে জনপ্রিয় হয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। বাংলায় সাফল্যের পর এবার তৃণমূলের পাখির চোখ দিল্লি। সেই উদ্দেশে ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশে দলের সংগঠন মজবুত করতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। সেখানেও তৃণমূলের হাতিয়ার ‘খেলা হবে’ স্লোগান। গোটা দেশে এই স্লোগানকে হাতিয়ার করছে তাঁরা। তাই এবার সংসদেও তাঁরা এই স্লোগান তুলল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।