নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লি ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে এবার আসরে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস (Congress) এবং আম আদমি পার্টির নেতাদের পর এবার ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরোন নাঙ্গল এলাকায় নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বুধবার নির্যাতিতার বাড়ি গিয়েছিলেন তৃণমূলের তিন মহিলা সাংসদ। কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar), শান্তা ছেত্রী এবং মৌসম নূররা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দেন।
দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চলের পুরোন নাঙ্গল এলাকার প্রান্তিক পরিবারের ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। খাস রাজধানীর বুকে ন’বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন! শুধু তা-ই নয়, নিগৃহীতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে পুলিশকে না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহটি পুড়িয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার জেরে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারকে। কারণ, রাজধানী দিল্লির আইনশৃঙ্খলার ভার রয়েছে কেন্দ্রের উপরই।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় দিল্লির নির্যাতিতার বাবা-মায়ের ছবি পোস্ট! বিপাকে Rahul Gandhi]
আজ সকালেই দিল্লির ওই নির্যাতিতার বাড়ি যান প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। সুবিচারের লড়াইয়ে নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও যান ওই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এরপরই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বেশ কিছুক্ষণ নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তৃণমূল সাংসদদের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার বাবা-মা।
[আরও পড়ুন: Tihar জেলের মধ্যেই উদ্ধার BJP নেতার খুনে অভিযুক্তের মৃতদেহ, পিটিয়ে মারার অভিযোগ]
প্রসঙ্গত, দিল্লির এই ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আগেই তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। টুইটারে অভিষেক লেখেন, “প্রতিদিন দেশজুড়ে আমাদের মেয়েদের, তফসিলি সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভয়ানক অত্যাচারের মুখে পড়তে হচ্ছে। যা প্রমাণ করে দিচ্ছে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কতটা অসংবেদনশীল। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি লজ্জাজনক।” এ প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের ডিজি রাকেশ আস্থানার নিয়োগ নিয়েও কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ। প্রশ্ন তুলেছেন, “দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা অমিত শাহের (Amit Shah) কাছের মানুষ। তিনি কি এখনই দায়িত্বপালন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন? নাকি তাঁর নিয়োগের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে?”