কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: দলবিরোধী কাজের অভিযোগ। এবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে বহিষ্কার করল তৃণমূল (TMC)। দলের সিদ্ধান্ত জানার পর বহিষ্কৃত নেতা জানালেন, দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, অবশেষে মুক্তি পেলেন।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই দলের প্রতীক ছাড়া সভা-মিছিল করছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন। সম্প্রতি বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) বহরমপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তা থেকেই দল অর্থাৎ তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছিল মোশারফের। অনেকের মনেই প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল, তবে কী দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি? এই নিয়ে চাপানউতোরের মাঝে বুধবার বিকেলে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানগৃহে জেলা পরিষদের সমস্ত সদস্য, বিধায়ক ও অন্যান্য নেতারা বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই মোশারফকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই খবর। ইতিমধ্যেই দলের তরফে তাঁকে বহিস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূলের সিদ্ধান্ত জানার পর কী বললেন মোশারফ? তাঁর কথায়, “দলে থেকে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। মুক্তি পেলাম। এবার মুক্তভাবে কাজ করতে পারব।” সূত্রের খবর, আগামী ১৯ অথবা ২০ তারিখ কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: এবার কি ভোটের ময়দানে সাধনকন্যা শ্রেয়া? ব্যানার-পোস্টার-ফ্লেক্সে ছয়লাপ বসিরহাট]
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে দলীয় প্রতীক ছাড়া মিটিং-মিছিল করা শুরু করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। কিন্তু তাতে ফল মেলেনি, জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও একাধিক বিধায়ক, সাংসদ শাসকদল ছেড়ে যোগ দিয়েছে বিজেপিতে। দলবদলের আবহে দল বিরোধী মন্তব্য করায় একাধিক নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মোশারফ হোসেন।