সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎই অসুস্থ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। শুক্রবার মাঝরাত থেকেই পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথা না কমায় সকালে ডাক্তার আসেন তাঁকে দেখতে। জানা গিয়েছে সিভিয়ার ডিহাইড্রেশন রয়েছে মিমির। রক্তচাপও কমে গিয়েছে। মঙ্গলবারই ভুয়ো IAS অফিসার দেবাঞ্জন দেবের আয়োজিত টিকাকরণ শিবির থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন মিমি। তার জেরেই কি অসুস্থ তৃণমূল সাংসদ (TMC MP)? এই প্রশ্নই উঠছে অনেকের মনে।
কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরের পর্দা ফাঁস করেছিলেন মিমি চক্রবর্তীই। গত মঙ্গলবার তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের সঙ্গে কোভিড টিকা নিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ। জানিয়েছিলেন সাধারণ মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহ দিতেই ক্যাম্পে গিয়ে সকলের সঙ্গে টিকা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু টিকা নেওয়ার পর মোবাইলে মেসেজ না আসার পরই মিমির সন্দেহ শুরু হয়। ক্যাম্পে গিয়ে সার্টিফিকেট চাইলে বলা হয় তিন-চারদিন পর সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। তাতেই সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপরই নাকি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকাকরণ প্রক্রিয়া থামিয়ে দেন মিমি।
[আরও পড়ুন: এক হাতে জড়ানো ফুলের গজরা, অন্য হাতে মদ, শ্রাবন্তীর বিরহে দেবদাস হলেন রোশন!]
পরে ভুয়ো IAS অফিসার দেবাঞ্জন দেবকে (Debanjan Dev) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জালিয়াতির এই জাল কতদূর বিস্তৃত ছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ঘটনায় সুশান্ত দাস, রবিন শিকদার এবং শান্তনু মান্না নামের আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। CBI দাবি তুলে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী সন্দীপন দাস। কসবার ওই ক্যাম্পে সোনারপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দাও টিকা নিয়েছিলেন। সেই সূত্রেই ঘটনার তদন্ত চেয়ে আবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র (Lovely Maitra)। দেবাঞ্জনের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল লাভলিকে। সেই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে লাভলি জানিয়েছিলেন, তিনি দেবাঞ্জনকে চেনেন না। দলীয় অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছিল মাত্র। এদিকে গত বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে মিমি জানিয়েছিলেন তাঁর শারীরিক অবস্থা ঠিক আছে। বাকিদেরও সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছিলেন তারকা সাংসদ। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মিমির অসুস্থতার খবরে চিন্তিত তাঁর অনুরাগীরা। অভিনেত্রী-সাংসদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন প্রত্যেকে।