shono
Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের আগে নয়া কর্মসূচি তৃণমূলের, এবার এক বিধায়কের কাজ দেখবেন অন্য বিধায়ক

বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে শীর্ষনেতৃত্বকে।
Posted: 10:25 AM Dec 21, 2022Updated: 10:25 AM Dec 21, 2022

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: যিনি যে তল্লাটের বিধায়ক, সেই এলাকা ছেড়ে তাঁকে কাজ দেখতে যেতে হবে পাশের বিধানসভা এলাকায়। তাঁর কাজ দেখতে আসবেন অন‌্য কোনও বিধায়ক। আবার যিনি যে এলাকার গ্রাম প্রধান, তিনি যাবেন তাঁর পাশের এলাকায়। তাঁর এলাকায় দায়িত্ব নিয়ে আসবেন অন‌্য কেউ। খতিয়ান নেবেন পাশের গ্রামপ্রধানের কাজের। কোথায় কোন কাজ হয়েছে, কোথায় ফাঁকি রয়ে গিয়েছে, বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে শীর্ষনেতৃত্বকে। বিধায়ক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত নতুন কাঠামোয় এবার এভাবেই জনমত নেবে তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisement

‘নতুন বছর, নতুন তৃণমূল। নতুন উন্মাদনা, নতুন উদ‌্যম। নতুন স্বতঃস্ফূর্ততা, নতুন কর্মসূচি!’– রানাঘাটের সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের বলা কথাগুলো এখনও ঝরঝরে। বড় কিছু বদল না হলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন বছরের শুরুতে আপাতত এটাই হতে চলেছে নতুন তৃণমূলের নতুন কর্মসূচির প্রাথমিক ফর্মুলা। অভিনব ভাবনার এই কর্মসূচির ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ হিসাবে উত্তর ২৪ পরগনার একটা বিস্তীর্ণ অংশে সমীক্ষা শুরু করে দিতে বলা হয়েছে। ২ জানুয়ারি তা শুরু হওয়ার কথা। এক রাজ‌্যনেতার কথায়, ‘‘নিজে কী কাজ করেছি, সেটা লোককে বলতে গেলে অতিরঞ্জন হবেই। মানুষ যে পরিষেবা পেয়েছে, সরকারি কাজ যতটা হয়েছে, কোনও নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের কাছে সেটা শুনবেন অন‌্য এলাকার জনপ্রতিনিধি। তাঁর ক্ষেত্রেও একইভাবে যাচাই হবে। তাতে নিরপেক্ষতা থাকবে।’’

[আরও পড়ুন: কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর, বড়দিনে বেশি রাত অবধি চলবে মেট্রো, দেখে নিন সময়সূচি]

আসলে মাটির খবর একেবারে মাটিতে দাঁড়িয়েই নিতে চাইছে তৃণমূল। সেখানে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তার জন‌্যই জনপ্রতিনিধিদের এই জায়গা বদলে পাঠানোর মতো অভিনব ভাবনা। ইতিমধ্যেই জেলা সফরে গিয়ে পঞ্চায়েতে একাধিক জনপ্রতিনিধির কাজে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিষেক। দীর্ঘদিন কাজ হয়নি দেখে সেখানকার পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের এক নিমেষে ইস্তফা দিয়ে দিতে বলেছেন। সেই সূত্রেই এই নতুন ভাবনা।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এই জনসংযোগ পর্ব জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দু’মাসের ১০ দিন করে হবে। গ্রাম, পাড়া বা সমাজের ৫ জন বিশিষ্ট ব‌্যক্তির মুখ থেকে এলাকার কাজের খতিয়ান শোনা হবে। নেওয়া হবে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের রিপোর্টও। এর সঙ্গে ‘দিদিকে বলো’ বা ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’-র মতো গ্রামে গিয়ে কর্মীদের বাড়িতে রাত কাটিয়ে এলাকার মানুষের কথা শোনা ও নতুন করে জনসংযোগের একটা বড় অংশ থাকছে কর্মসূচির মধ্যে।

[আরও পড়ুন: হাঁসখালি গণধর্ষণ ও খুন: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পেল মৃতার পরিবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement