সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, ত্রিপুরায় ততই শক্তি বাড়ছে তৃণমূলের। সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অসমের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব (Susmita Dev) গত দু’দিন ধরে ত্রিপুরাতেই আছেন। তাঁর নেতৃত্বে রোজই কোনও না কোনও দল থেকে নেতাকর্মীরা যোগদান করছেন এরাজ্যের শাসক দলে। সেই সঙ্গে সুস্মিতার বিভিন্ন কার্যকলাপে তৃণমূলে বড়সড় যোগদানের সম্ভাবনাও বাড়ছে।
আসলে, ত্রিপুরায় দলের সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধির ভার সুস্মিতা দেবের উপরই দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেকের নির্দেশেই সেরাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে যাওয়ার কথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতার। তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিষেকের নির্দেশে ত্রিপুরার আটটি জেলাতেই পদযাত্রা করবেন সুস্মিতা। তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে তোলার গুরুদায়িত্ব তাঁকেই দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবারও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে প্রাক্তন সাংসদের। অন্যান্য দল থেকে বহু নেতাকর্মীর তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: ফের ত্রিপুরায় হামলার মুখে তৃণমূল, বাড়িতে ঢুকে মারধর দলীয় সমর্থকদের]
এদিকে ত্রিপুরায় যখন তৃণমূল ঝড়ের গতিতে বাড়ছে, তখনই ইস্তফা দিলেন বিধানসভার স্পিকার রেবতীমোহন দাস (Rebati Mohan Das)। তাঁর ইস্তফা ঘিরে একটা সময় জল্পনা তৈরি হলেও পরে দলের তরফে জানানো হয়, রেবতীবাবুকে সংগঠনের কাছে লাগাবে দল। ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির (BJP) সহ-সভাপতির পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া প্রতিমা ভৌমিক আগে ওই পদে ছিলেন।
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: তৃণমূলের উত্থানে ত্রিপুরায় কতটা সংকটে বিজেপি সরকার?]
কিন্তু প্রশ্ন হল, হঠাত স্পিকারের মতো সাংগঠনিক পদ থেকে রেবতীবাবুকে সংগঠনে কেন আনা হল? সেখানেই যত গুঞ্জন। আগরতলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি কিছুটা হলেও চিন্তায় রাখছে গেরুয়া শিবিরকে। তাই আগেভাগে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সম্ভবত সেকারণেই রেবতীবাবুর মতো পোড়খাওয়া নেতাকে স্পিকারের পদ থেকে সরিয়ে দলের সংগঠনে আনা হল। বিজেপির তরফে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, রেবতীবাবু নিজেই সংগঠনের কাজ করতে চাইছিলেন।