প্রণব সরকার, আগরতলা: বিধানসভায় বসে পর্ন ছবি দেখার পর কেটে গিয়েছে ৩ মাসের বেশি সময়। এখনও অভিযুক্ত বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বিজেপি। প্রতিবাদে এবার বিধানসভাই কার্যত অচল করে দিল বিরোধীরা। বিরোধী এবং শাসকদলের বিধায়কদের বিক্ষোভে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হলে বিধানসভার অন্দরে।
গত মার্চ মাসে ত্রিপুরা বিধানসভার অন্দরে বসে পর্ন ছবি দেখার অভিযোগ ওঠে বিজেপি বিধায়ক যাদবলাল নাথের (Jadav Lal Nath) বিরুদ্ধে। এমনকী ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই ভিডিও-য় দেখা যায়, ঘটনার সময় পুরোদমে ব্যস্ত ছিল ত্রিপুরা বিধানসভা। অর্থনীতি, শিক্ষা, আইশৃঙ্খলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা চলছিল। তখনই এক ক্যামেরায় ধরা পড়ে যান বিজেপি বাগসারার বিধায়ক যাদবলাল নাথ। দেখা যায় নিজের মোবাইল ফোনে পর্ন ছবি দেখায় মগ্ন যাদবলাল। বাগসারার বিধায়ক নিজের দোষ স্বীকারও করে নেন।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য দেশদ্রোহিতা নয়, মত কর্ণাটক হাই কোর্টের]
অথচ, বিধানসভায় এহেন কাণ্ড ঘটানোর পরও বিধায়কের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বিজেপি। তারই প্রতিবাদে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শুরুতে হট্টগোল বাঁধিয়ে দেয় বিজেপি (BJP), কংগ্রেস এবং তিপ্রা মোথার বিধায়করা। এদিন গোমূত্র দিয়ে বিধানসভার শুদ্ধিকরণ করেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন। শাসকদলের বিধায়কদের গায়েও গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেন তিনি। যাদবলাল নাথের শাস্তির দাবিতে এদিন মূলতুবি প্রস্তাব আনেন বিরোধী দলনেতা অনিমেশ দেববর্মা। সেই প্রস্তাব না মানায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী বিধায়করা। বেঞ্চের উপরে উঠে পড়েন ৩ জন তিপ্রা মথা বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের পরেই ইডেনের দর্শকাসন হবে এক লক্ষ, জানালেন সৌরভ]
অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে (Sudip Roy Burman) দিনের মতন অধিবেশন থেকে বহিষ্কার করেন। সাসপেন্ড করা যায় আরও ৪ বিধায়ককে। পরে অবশ্য সেই সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হয়।