সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্রেপ্তার নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিরুদ্ধে নোটিস পাঠানোর পথেই হাঁটছে ত্রিপুরা পুলিশ ((Tripura Police)। পুলিসের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তিনদিন পরে অভিযোগ দায়ের করেছে খোয়াই থানা। তবে অভিযুক্ত তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, নেত্রীদের গ্রেপ্তারের পথে হাঁটছে না পুলিশ। তাদের এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তৃণমূলের যুবনেতাদের গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ত্রিপুরা। তাঁদের মুক্তির দাবিতে খোয়াই থানায় কার্যত রণং দেহি মেজাজে ধরা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এমনকী প্রতিবাদ স্বরূপ খোয়াই থানায় অবস্থানে বসে পড়েন অভিষেক-সহ একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রী। আর তার জেরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে ত্রিপুরা পুলিশ। তবে সেই মামলায় তাদের এখনই গ্রেপ্তার করার পথে হাঁটছে না পুলিশ। বরং নোটিশ পাঠিয়ে আইনি লড়াইয়ের পথে টেনে আনা হচ্ছে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: Aadhar কার্ডের ত্রুটি শোধরাতে চান? আগামী সপ্তাহেই মেগা সেন্টার চালু করছে কলকাতা পুরসভা]
এ প্রসঙ্গে খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেববর্মা জানিয়েছেন, ভারতীয় দন্ডবিধির ১৮৬/৩৪ ধারায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। যে ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাতে গ্রেপ্তারের কোনও আইনি সংস্থান নেই। বদলে নোটিস পাঠানো হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিক ও প্রকাশ দাসকে। যথাসময়ে তাঁদের থানায় হাজিরা দিতে হবে। যদিও আইনি পথেই এর মোকাবিলা করার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেজন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যে ত্রিপুরা রওনা হয়েছেন মিজোরামের প্রাক্তন বিশ্বজিৎ দেব।
মামলা প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। যার ফলে আসামীদের থানায় নিয়ে যেতেও সমস্যা হয়েছে। পুলিশের এই পদক্ষেপ আইনি দিক দিয়ে যথাযথ।” এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন বুধবার রাজ্য সফরে এসেছেন। মামলা নিয়ে স্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাকে ঘিরে উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি। যদিও ওয়াকিবহালের মতে, ইতিমধ্যে দেবাংশু-জয়া-সুদীপদের গ্রেপ্তার করে আদালতে মুখ পুড়েছে ত্রিপুরা সরকারের। তাই এবার চাপের রাজনীতি করতে চাইছে তারা। তাই হেভিওয়েট নেতাদের এখনই গ্রেপ্তার না করে নোটিস পাঠানোর পথেই হাঁটছে বিজেপিশাসিত রাজ্যের পুলিশ।