সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরা পুরভোট (Tripura Civic Polls) নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তাপ ক্রমশ চড়ছে। তৃণমূলের নজরে ত্রিপুরার পুরভোট। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জনসংযোগ কর্মসূচি। তারই মাঝে ত্রিপুরা পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৭ অক্টোবর ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পুরভোট। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। বিকেল ৪টেয় শেষ হবে ভোটগ্রহণ পর্ব। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে মনোনয়ন। ৫ নভেম্বর মনোনয়ন স্ক্রুটিনি করা যাবে। আগামী ৮ নভেম্বর দুপুর ৩টের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে। ২৮ নভেম্বর ত্রিপুরা পুরভোটের ফলপ্রকাশ। সকাল আটটা থেকে শুরু হবে ভোটগণনা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: অমরিন্দর সিংয়ের পাকিস্তানি বান্ধবীর ISI যোগ! তদন্তের সিদ্ধান্ত পাঞ্জাব কংগ্রেসের]
মোট ভোটার ৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৭২ জন। তার মধ্যে মহিলা ভোটার ৩ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭ জন। বাকি ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ৯৭৯ জন পুরুষ ভোটার। মোট ৭৭০টি বুথে ভোটগ্রহণ হবে। স্বচ্ছতার কথা মাথায় রেখে ওয়েবকাস্টিংয়ের বন্দোবস্ত থাকবে। কিছু কিছু বুথে হবে ভিডিওগ্রাফিও। এছাড়াও প্রতি ক্ষেত্রে মানতে হবে কোভিডবিধিও।
এবার তৃণমূলের (TMC) নজরে ত্রিপুরার পুরভোট। তাই বিপ্লব দেবের রাজ্যে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। শুক্রবার থেকে বাংলার ছকেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যে জনসংযোগ শুরু করে তৃণমূল। সূচনা করেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। ‘দিদির দূত’ গাড়ির মাধ্যমে জনসংযোগ শুরু হয় জেলায় জেলায়। আমতলিতে জনসংযোগ কর্মসূচির সময় রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব-সহ তৃণমূল কর্মীদের উপর ওঠে হামলার অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয়েছে সাংসদের গাড়ি। ব্যাগ ও মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগও ওঠে। এই ঘটনার জন্য বিজেপির দিকেই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।