রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পূর্ণিমার আগে ভরা কোটালে উত্তাল সমুদ্র। যার জেরে দিঘা(Digha) মোহনা থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটল। একইসঙ্গে আরেকটি ভুটভুটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার ও ভুটভুটির ১৮ জন অন্য ট্রলারে চেপে, সাঁতরে প্রাণ বাঁচান। জানা গিয়েছে, এদিন ইলিশ ধরতে বেরিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা।
মাঝ সমুদ্রে মা অন্নপূর্ণা নামের ট্রলারটি সম্পূর্ণ ভেঙেচুরে সমুদ্রে ডুবে যায়। অপরদিকে নিউ প্রতিমা ভুটভুটিকে কোনওরকমে পাড়ে টেনে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। তবে দুটি ট্রলারে থাকা জাল, ডিজেল এবং চাল-সহ অন্যান্য সামগ্রী মিলে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা জিনিস ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুটভুটি মালিক শুকদেব জানা। তিনি বলেন, "পূর্ণিমা থাকার কারণে উত্তাল সমুদ্র এবং সেই সঙ্গে ড্রেজিং না হওয়ার কারণে এই সমস্ত দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।"
[আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে মুক্তি! ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বাংলাদেশ ফেরত পড়ুয়া]
প্রতি বছরই বেশ কয়েকটি ট্রলার এবং ভুটভুটি দুর্ঘটনা কবলে পড়ে। কোটি-কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হয়। অভিযোগ, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বার বার ড্রেজিংয়ের কথা বলা হলেও কাজের কাজ হয়নি। ভুটভুটি মালিক আরও বলেন, "সরকারের তরফ থেকে মৎস্যজীবী কার্ড রয়েছে। সেইসঙ্গে নিষেধাজ্ঞার সময় মৎস্যজীবীদের ভাতা দেওয়ার কথা ছিল। সেই টাকাও এখনও পর্যন্ত আমরা পাইনি।" শুকদেববাবু জানান, বৃষ্টির মরশুমে আমরা ইলিশের সন্ধানে মূলত বেরিয়ে যাই। মরশুমের প্রথমে এই ধরনের ধাক্কা খাওয়ায় পুরো ব্যবসাটাই আমাদের মাটি হয়ে যায়।"
শংকরপুর ফিশারম্যান ফ্রি স্ট্যাটাস অ্যাসোসিয়নের সম্পাদক স্বদেশ নায়ক জানেন, "১২ বছর ধরে মৎস্যজীবীদের এই সমস্যায় ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে। আমরা প্রতিবছরই ড্রেজিংয়ের কথা বলি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।" সকাল থেকে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে।