সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খোদ টিটিই’র ষড়যন্ত্রে চলন্ত ট্রেনে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ। মাদক মেশানো জল খাইয়ে অচৈতন্য করে তাঁকে গণধর্ষণ করা হয় বলেই দাবি নির্যাতিতার। উত্তরপ্রদেশের লিংক এক্সপ্রেসের এসি কোচের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই টিটিই-কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
গত ১৬ জানুয়ারি আড়াই বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই সময় ওই টিটিই রাজু সিংয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তাঁর। টিটিই-কে আগে থেকেই চিনতেন গৃহবধূ। নির্যাতিতার দাবি, টিটিই তাঁকে লিংক এক্সপ্রেসের এসি কোচে উঠে বসতে বলেন। সেই অনুযায়ী তিনি উঠে পড়েন। সাড়ে নটা নাগাদ তাঁর কাছে আসেন টিটিই। খাবার খাওয়ার অনুরোধ করেন। তবে গৃহবধূ খাবার খেতে চাননি। এরপর জল পান করতে দেন নির্যাতিতাকে। টিটিই’র দেওয়া জল খাওয়ার পর তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন বলেই অভিযোগ। গৃহবধূর আরও দাবি, সেই সুযোগেই টিটিই তাঁকে গণধর্ষণ করে। জ্ঞান ফিরলেও নির্যাতিতা সেই সময় চিৎকার করতে পারেননি বলেই অভিযোগ। তিনি যাতে কাউকে গণধর্ষণের বিষয়ে কিছু না বলেন, সেই হুমকি দেওয়া হয় বলেও দাবি নির্যাতিতার।
[আরও পড়ুন: ‘মন কি বাতে’র রিপোর্টেও জল! রাজ্য বিজেপি নেতাদের ভূমিকায় হতাশ দিল্লি]
পরদিন গন্তব্যে পৌঁছন নির্যাতিতা। তবে গণধর্ষণের বিষয়ে কাউকে কিছু জানাননি তিনি। এরপর গত ২০ জানুয়ারি বাড়িতে পৌঁছন গৃহবধূ। স্বামীকে পুরো ঘটনাটি জানান। রেলওয়ে হেল্পলাইনে অভিযোগ জানান তাঁরা। সেই অনুযায়ী শুরু হয় তদন্ত। রেলওয়ে পুলিশ সুপার অপর্ণা গুপ্তা তড়িঘড়ি নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেন। শুরু হয় তদন্ত। টিটিই’র বাড়িতে হানা দেয় রেলপুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।
নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও ধর্ষণ হয়েছে কিনা, তার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। টিটিই’র এই ন্যক্কারজনক কাজের ফলে স্বাভাবিকভাবেই চলন্ত ট্রেনে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।