নব্যেন্দু হাজরা: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় এবার করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) হানা। মেট্রোর প্রায় ৩০ জনের শরীরে COVID সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। আক্রান্ত টানেল ইনচার্জও। যার জেরে দীর্ঘদিন পর শুরু হয়েও একমাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ। প্রায় ১৫০ জন কর্মীকে পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে। কাজ ফের কবে শুরু হবে, তা অজানা।
লকডাউনের (Lockdown) জেরে দীর্ঘদিন ধরে থমকে ছিল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। আনলক ওয়ানে (Unlock 1) জুনের ১৫ তারিখ থেকে কাজ শুরু হয়। নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজে নামেন কর্মীরা। রেললাইন পাতার জন্য সুইডেন থেকে পাতও এসেছিল। কিন্তু কাজ খানিক এগোতে না এগোতেই ফের বাধা। ইস্ট-ওয়েস্টের সুড়ঙ্গে থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী, টানেল ইনচার্জ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া গত কয়েকদিনে প্রায় ৩০ জন কর্মী করোনা পজিটিভ হয়েছেন। ১৫০জনকে পাঠানো হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে, তাঁদেরও করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছে। এরপর টানেল ইনচার্জ করোনা পজিটিভ হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আপাতত কাজ বন্ধ থাকবে। বাকি দেড়শো জনের করোনা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কাজ হবে না বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: বাজার থেকে উধাও করোনা চিকিৎসার জরুরি ওষুধ, বিপাকে রোগীর আত্মীয়রা]
কলকাতা তথা গোটা রাজ্যজুড়েই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ফি দিন ১৪০০’র বেশি নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর নতুন কিছু নয়। সোমবার কলকাতা মেট্রোর এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। আরপিএফের অনেকেই COVID পজিটিভ। কিন্তু তারপরও মেট্রো ভবন স্যানিটাইজ করা হয়নি বলে অভিযোগে সরব কর্মীরা। তাঁদের নিয়মিত অফিসে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় সহকর্মীর মৃত্যু এবং বাকিদের সংক্রমণ তাঁদের আতঙ্কিত করে তুলছে। অফিসে গিয়ে কাজ করতেই ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। কর্মীদের দাবি, মেট্রো ভবন থেকে স্টেশন – সবটাই নিখুঁতভাবে স্যানিটাইজ করা হোক। এবার ইস্ট-ওয়েস্টেও করোনার কামড়ে মেট্রোর কাজ কীভাবে হবে, তা নিয়ে চিন্তায় আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে রোগী ভরতির চাপ, সমস্যা মেটাতে কলকাতায় চালু ‘সেফ হোম’]
The post করোনার থাবা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয়, টানেল ইনচার্জ-সহ বহু কর্মী আক্রান্ত, বন্ধ কাজ appeared first on Sangbad Pratidin.