সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: দু’নৌকায় পা নয়, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই বাবুল সুপ্রিয় জানিয়ে দিয়েছিলেন শীঘ্রই সাংসদ পদ ছাড়বেন তিনি। শোনা যাচ্ছিল, সেই মতো আজ, বুধবারই সংসদে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে যা খবর, আজ নয়, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিজেপি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বাবুল।
বিজেপি ছাড়ার পর রাজনীতি থেকে কার্যত সন্ন্যাস নিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল (Babul Supriyo)। জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন না তিনি। একটা দলকেই ভালবেসেছেন। তবে পাশাপাশি এও জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রের অনুরোধে সাংসদ হিসেবে আসানসোলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবেন। কিন্তু গত শনিবার আচমকাই তৃণমূলের হাত ধরে চমকে দেন তিনি। আর তারপরই জানিয়ে দেন, শীঘ্রই ছাড়বেন সাংসদ পদও (Asansol MP)। জানা গিয়েছে, আজই স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুলের। কিন্তু স্পিকার আজ সময় দিতে পারছেন না। পাশাপাশি বাবুল নিজেও আজ দিল্লিতে নেই। ব্যক্তিগত কারণে রাজস্থানের কোটায় গিয়েছেন বলে খবর। তাই ঠিক হয়েছে, বৃহস্পতিবার গিয়েই পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে আসবেন।
[আরও পড়ুন: SAARC বৈঠকে তালিবানের উপস্থিতির দাবি তুলল পাকিস্তান, ভেস্তে গেল আলোচনা]
এদিকে, বাবুলের গান নিয়ে কটাক্ষ করার পরই ভোল বদলে সোশাল মিডিয়ায় ক্ষমা চান জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। “ক্ষমতা থাকলে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল বাবুলকে প্রার্থী করে জয়ী করে দেখাক। কিন্তু তৃণমূল জানে বাবুলকে ভোটে লড়লে জিতবেন না। ওঁর থেকে রাণু মণ্ডলকে ভোটে দাঁড় করালে বেশি ভোট মিলবে। কারণ উনি একজন শিল্পী। আবার রাণু মণ্ডলও একজন শিল্পী। তবে ওঁর থেকে এখন ভাল গায়িকা রাণু মণ্ডল।” বাবুলের গায়কী সত্বা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পরই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। ফলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে নিজের ভুল বুঝে ক্ষমা চেয়ে নেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু দিন রাজনীতি কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখে আসানসোল ছেড়ে কলকাতায় চলে যান জিতেন্দ্র। জানিয়েছিলেন, কলকাতায় থেকে হাই কোর্টে আইনজীবী হিসাবে প্র্যাকটিস করবেন। কিন্তু গত সোমবার আচমকাই তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আসানসোলে যান। আসানসোল সাংগঠনিক জেলার ডাকা পদ্মশিবিরের কার্যকর্তা বৈঠকে অংশ নেন। সেখানেই তিনি সমালোচনার সুরে তৃণমূলে যোগদান করা বাবুলকে আক্রমণ করেন। তবে পরে দুঃখপ্রকাশও করেছেন।