সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “আপনার বন্ধু কি ফিটনেসের বিষয়ে অলস? তাহলে আপনার শহরের নাম এবং মোবাইল নম্বর টুইটারে শেয়ার করুন। আমি ফোন করে তাঁকে পেপটক দিয়ে উৎসাহিত করব।” এমন টুইট করেই বিপাকে পড়লেন মাস্টার ব্লাস্টার।
একটি কোম্পানির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিটনেসের প্রচার করছিলেন শচীন তেণ্ডুলকর। আর সেখানেই আম জনতাকে মোবাইল নম্বর শেয়ার করতে বলেন তিনি। এই নিয়েই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। প্রশ্ন ওঠে, শচীনের মতো কিংবদন্তি কীভাবে প্রকাশ্যে মোবাইল নম্বর দেওয়ার আহ্বান জানান? এতে অত্যন্ত অনায়াসে যে কোনও ব্যক্তির বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে। এই বিতর্কের পরই নিজের টুইটটি মুছে ফেলেন ক্রিকেট ঈশ্বর।
[‘বিরাটের মতামত অপ্রয়োজনীয়, মঙ্গলবারই কোচের নাম ঘোষণা করা হোক’]
শচীন ফোন করে ফিটনেসের পরামর্শ দেবেন। এমন সুযোগ তো আর সবসময় মেলে না। তাই মাস্টার ব্লাস্টারের টুইটে সাড়া দিয়ে অনেক ভক্তই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মোবাইল নম্বর শেয়ার করতে শুরু করে দিয়েছিলেন। অত্যন্ত ভাল উদ্দেশ্য নিয়েই ভক্তদের আহ্বান জানিয়ে ছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি যে এভাবে বুমেরাং হয়ে যাবে, তা তিনি নিজেও বুঝতে পারেননি। আসলে টুইটারে এ ধরনের তথ্য শেয়ার করার অনুমতি নেই। এই সোশ্যাল সাইটে অন্য কোনও ব্যক্তির পরিচয়পত্র, ঠিকানা, ফোন নম্বরের মতো তথ্যকে ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। ফলে টুইটটি নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। অস্ট্রেলিয়ান ওয়েব নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ট্রয় হান্ট টুইট করে বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “ভারতের সাধারণ মানুষের ফোন নম্বর জানার খুব সহজ উপায় আছে। কোনও একজন বিখ্যাত ক্রিকেটার আহ্বান জানালেই সবাই নিজেদের বিস্তারিত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দেবে।” অন্য এক নেটিজেন শচীনকে কটাক্ষ করে লেখেন, “ভাগ্যিস শচীন ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চাননি।”
[বিরাট-বুমরাহর বিরুদ্ধে স্লেজিংয়ের অভিযোগ তুললেন পাক ব্যাটসম্যান!]
আপাতত ইংল্যান্ডে ছুটি কাটাচ্ছেন শচীন। তবে তারই মধ্যে সোমবার ভিডিও কনফারেন্সে ভারতীয় কোচ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। আর তার আগেই বিতর্কে জড়িয়ে টুইট ডিলিট করেন ভারতীয় কিংবদন্তি।
The post এই টুইট করে বিপাকে পড়লেন মাস্টার ব্লাস্টার appeared first on Sangbad Pratidin.