সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোয় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল হরিয়ানা (Haryana) পুলিশ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নুহ থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু করে দুই দুষ্কৃতী। গুলি লেগে আহত হয় একজন। কিন্তু অন্যজন পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। আহত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পলাতকের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলেই খবর। প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই একটি ধর্মীয় মিছিল থেকে হিংসা ছড়ায় হরিয়ানার নুহ-তে। অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয় সেরাজ্যে।
হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিল মুনসিদ খান ও সাইকুল খান। আদতে তারা রাজস্থানের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার নুহের কিছু দূরে তাউড়ু এলাকায় তাদের লুকিয়ে থাকার খবর মেলে। তাদের ধরতে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালাতে থাকে দুই অভিযুক্ত। পালটা পুলিশের গুলিতে আহত হয় সাইকুল নামে অভিযুক্ত। তার পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে অন্য অভিযুক্ত সঙ্গে সঙ্গেই পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয় সাইকুলকে। আপাতত তাকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। অন্য অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাছে পুলিশের বিশেষ দল।
[আরও পড়ুন: ‘আমার ভয় লাগছে’, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফোন করে মাকে বলেছিলেন যাদবপুরে স্বপ্নদীপ]
প্রসঙ্গত,৩১ জুলাই ধর্মীয় মিছিলে অশান্তি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হরিয়ানা। নুহ সংঘর্ষস্থল হলেও হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে গুরুগ্রামেও। মৃত্যু হয় ছ’জনের। তারপর দুই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রশাসন। নুহ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে তাউরু এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই বুলডোজার গুঁড়িয়ে দেয় আড়াইশোরও বেশি ঝুপড়ি।
এহেন পরিস্থিতিতে অশান্তির আগুন আরও বাড়িয়ে তুলেছে হরিয়ানার তিন জেলার ৫০টি পঞ্চায়েত। ক’দিন আগে ওই পঞ্চায়য়েতগুলির তরফে এক নোটিশে জানানো হয়েছে, অশান্ত এলাকাগুলিতে মুসলিম ব্যবসায়ীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। পঞ্চায়েত প্রধানদের স্বাক্ষর করা ওই নোটিশে আরও বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট গ্রামগুলির মুসলিম নাগরিকদের পুলিশের কাছে অতি দ্রুত পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে। এই নির্দেশের পরের দিনই অবশ্য পুলিশের হাতে ধরা পড়ল অভিযুক্ত।