রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগেই কি গেরুয়া শিবিরে ধরতে চলেছে ভাঙন? নোয়াপাড়া এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়কের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে সেই জল্পনা। মুখে কিছু না বললে যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। তাই রাতারাতি দুই বিধায়কের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) এবং মুকুল রায়রা (Mukul Roy)। যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি বিধায়কেরা। এদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দাবি, দলের সঙ্গে কথা বলেই নাকি ওই দুই বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিধানসভায় প্রায় ২০ মিনিট কথা বলেন।
সোমবারই ছিল বিধানসভা অধিবেশনের শেষদিন। ওইদিন শুরুতেই দেখা গেল সৌজন্যের ছবি। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। সূত্রের খবর, মমতা নাকি তাঁকে কোনও বিষয়ে ভাবনাচিন্তার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তবে কোন বিষয়ে ভাবনার কথা বলেন, তা স্পষ্ট নয়। বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ফের চমক। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে যেতে দেখা যায় নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্ব। ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriyo Mallick) এবং পার্থ ভৌমিকেরা। যদিও একসঙ্গে বৈঠকে থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেন জ্যোতিপ্রিয়।
[আরও পড়ুন: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রদর্শিত নেতাজির ‘ভুয়ো’ চিঠি! সুগত বসুর অভিযোগ মানল কর্তৃপক্ষ]
প্রায় ২০ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন দুই বিজেপি বিধায়ক। যদিও তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে বিধানসভা এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে কথা হয়েছে। আর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হবে। নির্বাচনী বিধি লাগু হবে। সেক্ষেত্রে এই স্বল্প সময়ের মধ্যে উন্নয়ন কার্যত অসম্ভব। তাই কেন এখন উন্নয়ন নিয়ে কথা বললেন দুই বিধায়ক, উঠছে সেই প্রশ্ন। এই সাক্ষাৎ নিয়ে আপাতত রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর গুঞ্জন। একসময় দু’জনেই তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন। কয়েকদিন আগে দলবদল করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় সুনীল এবং বিশ্বজিতেরা। তবে কি ভোটের আগে ফের ঘাসফুল শিবিরেই ফিরছেন তাঁরা, সেই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে।