shono
Advertisement

কোলের সন্তানকে ছুঁড়ে ফেলে ‘গণধর্ষণ’, বাগদায় ২ বিএসএফ জওয়ানের যৌন লালসার শিকার বধূ

বাগদা থানার পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে।
Posted: 09:03 AM Aug 27, 2022Updated: 05:30 PM Aug 27, 2022

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: রাতের অন্ধকারে পটল খেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বিএসএফের (BSF) এক এএসআই ও এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার জিতপুর সীমান্তে। শুক্রবার বিকেলে ওই মহিলা বাগদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সন্ধেয় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। শনিবার তাদের বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আলতাফ হোসেন এবং এস পি চেরো। চেরো এসআই পদে রয়েছে। আলতাব কনস্টেবল। ধৃতরা বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব‌্যাটেলিয়নে কর্মরত। পুলিশ জানিয়েছে, ২৩ বছরের এক মহিলা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ জিতপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ওই সময় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা তাকে আটকে দেয়। অভিযোগ, এরপরেই তাকে পাশের পটল খেতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময় মহিলার সঙ্গে তার শিশুসন্তানও ছিল। তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয় ওই দুই বিএসএফ জওয়ান। মহিলার বাড়ি বসিরহাটে। পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি বিএসএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই’, অনুব্রতর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব শতাব্দী]

এ বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘যাদের উপর সুরক্ষার দায়িত্ব তারাই যদি এভাবে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সীমান্তে কে নিরাপত্তা দেবে? এই ঘটনায় বোঝা যায় সীমান্তে বিএসএফ কী করে বেড়ায়। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার যেরকম উচ্ছৃঙ্খলতার সঙ্গে চলছে তার প্রভাব পড়ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির উপরেও। ধৃত দু’জনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।’’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এর আগে কাশ্মীরে সেনার বিরুদ্ধে একাধিক এধরনের অভিযোগ ছিল। বেশিরভাগই মিথ্যে। তবে এই ঘটনাটি জানিনা সত্যি নাকি মিথ্যে যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে তা ভয়ংকর অপরাধ। উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।”

বনগাঁ জেলা পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, ‘‘মহিলার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। বিএসএফের দুই জওয়ান গ্রেপ্তার। মহিলার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।’’ এই ঘটনার জেরে গুরুতর অসুস্থ ওই তরুণী। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি। মহিলার অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক বলেই খবর। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি রক্ষকই ভক্ষক? সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তাও যে বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

[আরও পড়ুন: ‘আদালতের বাইরে মিথ্যা বলছেন’, ফের এজলাসে অরুণাভ ঘোষকে তোপ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার