shono
Advertisement

মালয়েশিয়ায় জয় মুর্শিদাবাদের দুই কিশোরের, বিদেশের মাটিতে ফের সম্মানিত বাংলার ছবি ‘দোস্তোজি’

আঠারোটি দেশ ঘুরে সাতটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে এই ছবি।
Posted: 09:55 AM Jul 19, 2022Updated: 09:59 AM Jul 19, 2022

বিদিশা চট্টোপাধ্যায়: মুর্শিদাবাদের ডোমকলের অন্তর্ভুক্ত ভগীরথপুরের দুই খুদে আশিক শেখ এবং আরিফ শেখ তাদের গ্রামের বাইরে পা না রাখলেও, গোটা বিশ্বের মন জয় করে চলেছে ক্রমাগত। প্রসূন চট্টোপাধ‌্যায় পরিচালিত ছবি ‘দোস্তোজি’-র দুই নায়ক এরা। ২০২২-এর ‘মালয়েশিয়া গোল্ডেন গ্লোবাল অ‌্যাওয়ার্ড’-এ কম্পিটিশন বিভাগে যুগ্মভাবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছে আশিক এবং আরিফ। হারিয়েছে এশিয়ার তাবড় অভিনেতাদের । প্রসূনের ছবি ‘দোস্তোজি’ ইতিমধ্যেই বিশ্ব সিনেমা মঞ্চে সাড়া ফেলেছে। লন্ডন-এর ‘বিএফআই’ ফিল্ম ফেস্টিভ‌্যালে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারের পর আঠারোটি দেশ ঘুরে সাতটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতেছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘ইউনেস্কো’র ‘সিফেজ’ পুরস্কারও। মালয়েশিয়ায় ছয়টি নমিনেশন পেয়েছিল ‘দোস্তোজি’, কিন্তু আট বছরের দুই খুদের অভিনয় মন জয় করেছে সকলের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুখ ভরতি দাড়ি, এলোমেলো চুলে লন্ডনের রাস্তায় ঘুরছেন শাহরুখ! ভাইরাল ‘ডানকি’ ছবির লুক]

১৯৯২-৯৩ সালের বাবরি মসজিদ ধ্বংসের আঁচ গিয়ে পৌঁছেছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দূরবর্তী গ্রামেও। সেই গ্রামেই পলাশ (অভিনয়ে আশিক) এবং সফিকুলের (আরিফ) বন্ধুত্বের গল্প বলে ‘দোস্তোজি’। পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ‌্যায় জানালেন, “আমি ওদের জন‌্য খুব খুশি। ওরা তো ভাল করে বোঝেও না অ‌্যাওয়ার্ড-এর বিষয়টা। এই সব নিয়ে কোনও মাথাব‌্যথাও নেই। খবর দিতে অন‌্য একজনের ফোনে কল করেছিলাম। স্পিকারে দু’জনেই হইহই করছে। ওদের বক্তব‌্য, প্রসূনদা যখন বলছে মালয়েশিয়া নিশ্চয়ই কোনও ভাল দেশ হবে…”। আশিক, আরিফকে গোটা গ্রাম চষে খুঁজে বের করেছিলেন প্রসূন। বাবা-মায়ের আপত্তি কাটিয়ে প্রায় এক বছর ওদের সঙ্গে সময় দেওয়ার পর, তবে শুটিং-এর জন‌্য প্রস্তুত করেন। এর আগে স্টিল ক‌্যামেরা পর্যন্ত চোখে দেখেনি দুই বন্ধু। সিনেমার মতোই সত্যি জীবনেও দুই বন্ধু আশিক এবং আরিফ। দু’জনের বয়স এখন বারোর কাছাকাছি হবে। আশিক বলে, ‘জীবনেও অভিনয় করব না আর’। তবে আরিফের অভিনয় করার ইচ্ছে আছে, জানালেন প্রসূন। ‘ছবিতে শহরের কাউকে না নেওয়ার কারণ আছে। মাটির কাছাকাছি কাউকে দরকার ছিল। রাজশাহীর ডায়লেক্ট আছে সংলাপে। আশিক, আরিফ যেভাবে বলতে পেরেছে, অন‌্যদের পক্ষে পারা মুশকিল’, জানালেন প্রসূন। আশিকের বাবা ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক, প‌্যানডেমিকে কাজ চলে যায়, এখন কাঠের কাজ করেন। এবং আরিফের বাবা ইটভাটায় মাটি কাটার কাজ করেন। প্রসূন জানালেন, “আমি সাধ‌্যমতো চেষ্টা করি যোগাযোগ রেখে যতটুকু করা যায়। কিন্তু একেবারে শিকড় উপড়ে শহরে এনে ফেলতে চাই না।”

[আরও পড়ুন: ফের অতীত রেকর্ড ভেঙে সোনা জয় ছেলে বেদান্তের, উচ্ছ্বসিত মাধবন, দেখুন ভিডিও ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement