সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আরও জোরাল হচ্ছে কৃষক আন্দোলন। এই পরিস্থিতিতেই এবার পাঞ্জাবে (Punjab) আত্মহত্যা করলেন এক তরুণ চাষি। দু’দিন আগেই দিল্লিতে (Delhi) কৃষক আন্দোলন থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। আর তারপরই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করলেন ওই কৃষক। পরিবারের লোকের অভিযোগ, মাথার উপর ঋণের বোঝা বাড়ার কারণেই নিরুপায় হয়ে এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মাত্র ২২ বছর বয়সি ওই কৃষকের নাম গুরলাভ সিং। তিনি পাঞ্জাবের ভাতিণ্ডা জেলার দয়ালপুর মির্জা গ্রামের বাসিন্দা। গত ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবারই দিল্লি সীমান্ত থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারই ৪৮ ঘণ্টা পরে ঘটিয়ে ফেললেন এই কাণ্ড। শনিবার ঘটনার পরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তারপরই মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বিষজাতীয় কোনও কিছু খেয়েই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: প্রায় অকেজো লালুর কিডনি! শোকজ করতেই রাতারাতি ভোলবদল চিকিৎসকের]
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ওই কৃষকের ৬ লক্ষ টাকার ঋণ রয়েছে। তা শোধ করা নিয়ে কার্যত দুশ্চিন্তায় ছিলেন তিনি। আর সেজন্যই এই কাজ করেছেন। আপাতত পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এদিকে, দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন কিন্তু আরও জোরালো হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভেস্তে গিয়েছে একাধিক দফার বৈঠক। রবিবার ২৪ দিনে পা দিল দিল্লি সীমানায় কৃষক আন্দোলন। শুক্রবার তাঁদের উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। সেই চিঠি পড়ে দেখতে হাতজোড় করে অনুরোধ করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তারপরেও বরফ গলেনি। বরং সেই চিঠি কৌশলকেই এবার হাতিয়ার করলেন আন্দোলনকারীরা।
শনিবার রাতে সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। লিখেছেন, “আমাদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন এই আন্দোলনের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ নেই। বারবার প্রধানমন্ত্রীও এই অভিযোগ করেছেন। কিন্তচু আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কোনও যোগাযোগ নেই।” তাঁদের আরও অভিযোগ, কৃষিমন্ত্রী লেখা চিঠির সঙ্গে আসল আইনের কোনও মিলই নেই। সরকারের চিঠিতে দাবি করা হয়ছিল, এই আইন কার্যকর হলে কৃষকদের জমি কেউ কেড়ে নেবে না। অথচ চুক্তি-২০২০ অন্য কথা বলছে।এই পরিস্থিতিতে সোমবার সারাদিন রিলে অনশনে বসবেন কৃষকরা। শুধু তাই নয়, আগামী ২৫—২৭ ডিসেম্বর হরিয়ানা–দিল্লি টোল প্লাজায় টোল সংগ্রহও বন্ধ করে দেবেন তাঁরা।