মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: ভারতীয় সেনার গুলিতে খতম হল হিজবুল মুজাহিদিনের দুই শীর্ষ নেতা। নাম তারিক মৌলবী ওরফে মুফতি ওয়াকাস এবং লতিফ টাইগার। এই লতিফ টাইগার বুরহান ওয়ানি স্কোয়াডের শেষ সদস্য। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় শুরু হয়। তাতেই খতম হয় দুই সন্ত্রাসবাদী। ঘটনায় এক জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর।
শুক্রবার সকালে সোপিয়ানের ইমাম শাহিবের আদখারা এলাকায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। তাঁদের কাছে খবর ছিল ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। সেই খবরের সূত্র ধরেই তল্লাশি শুরু করে ভারতীয় সেনা ও কাশ্মীর পুলিশ। তল্লাশি চলাকালীন সেনার গুলিতে খতম হয় তারিক মৌলবী এবং লতিফ টাইগার। এই লতিফ টাইগার বুরহান ওয়ানির দলের সদস্য ছিল।
[ আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র পর তাণ্ডব চালাবে ভারতের ‘বায়ু’ ]
৩৪ আর আর ও স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের সদস্যরা একসঙ্গে অভিযান চালান। কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সোপিয়ানে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলি বিনিময় এখনও চলছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুয়ায়ী দুই জঙ্গিকে ঘিরে ফেলেছেন পুলিশকর্মী ও জওয়ানরা। এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।
কাশ্মীরের অন্যতম উত্তপ্ত এলাকা সোপিয়ান। এখানেই ২০১৬ সালে হিজবুল জঙ্গিনেতা বুরহান ওয়ানিকে খতম করে ভারতীয় সেনা। এলাকাটি অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। আগামী সোমবার, ৬ মে এখানে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে হিজবুলের দুই শীর্ষ নেতার এলাকায় অবস্থান হামলার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে। যদিও যৌথ বাহিনীর গুলিতে তাদের নিকেশ করা গিয়েছে, কিন্তু আশঙ্কা তাতেও কাটছে না।
গত সপ্তাহে ভারতীয় জওয়ানরা দুই হিজবুল জঙ্গিকে খতম করে অনন্তনাগে। দুই জঙ্গির নাম সাফদের আমিন ভাট (২৫) ও বুরহান আহমেদ গানি (২৫)। ভাট নবম শ্রেণির পর হিজবুলে যোগ দেয় ২০১৭ সালের মে মাসে। গানি ফিজিওথেরাপি নিয়ে স্নাতক। ২০১৮ সালের জুন মাসে সে হিজবুলে যোগ দেয়।
[ আরও পড়ুন: ওড়িশা উপকূলে প্রবেশ করল ফণী, প্রবল জলোচ্ছ্বাস পুরীর সমুদ্রে ]