shono
Advertisement

মাঝ আকাশে মুখোমুখি দুই বিমান, বেঙ্গালুরুতে অল্পের জন্য রক্ষা চারশোরও বেশি যাত্রীর

ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ ডিজিসিএ'র।
Posted: 10:42 AM Jan 20, 2022Updated: 10:42 AM Jan 20, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর মাত্র কিছু সময়ের মধ্যেই, মাঝ আকাশে পরস্পরের মারাত্মক কাছাকাছি চলে এসেছিল ইন্ডিগোর (Indigo) দু’টি বিমান। ব্যবধান এতটাই কম ছিল যে, আর একটু হলেই ঘটে যেত মুখোমুখি সংঘর্ষ! ঘটে যেতে পারত মহা বিপর্যয়! কিন্তু শেষ পর্যন্ত এড়ানো গিয়েছে দুর্ঘটনা। র‌্যাডার কন্ট্রোলারের চোখে পড়তেই সতর্ক করে দেওয়া হয় দুই বিমানের চালকদের। তাতেই এড়ানো সম্ভব হয় সংঘর্ষ। বরাতজোরে রক্ষা পান ক্রু-সহ দুই বিমানের মোট ৪২৬ জন যাত্রী। ঘটনা গত ৯ জানুয়ারির। ডিজিসিএ প্রধান অরুণ কুমার এ কথা জানিয়েছেন। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছে ডিজিসিএ। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Advertisement

ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে ইন্ডিগো ৬ই৪৫৫ পাড়ি দিয়েছিল কলকাতার দিকে। আর একই বিমানবন্দর থেকে ভুবনেশ্বরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল ৬ই২৪৬। কিন্তু আকাশে ওড়ার মাত্র ৫ মিনিটের মাথাতেই দু’টি বিমান চলে এসেছিল পরস্পরের অত্যন্ত কাছে, এতটাই কাছে যে যেকোনও মুহূর্তে মুুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে যেতে পারত। ওই দিন বেঙ্গালুরু-কলকাতা বিমানে ছিলেন ১৭৬ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু আর বেঙ্গালুরু-ভুবনেশ্বরগামী বিমানে ছিলেন ৬ জন ক্রু এবং ২৩৮ জন যাত্রী। যদিও ভাগ্যক্রমে কেউই হতাহত হননি।

[আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য]

কিন্তু কেন ঘটেছিল এই ঘটনা? কী করে দু’টি বিমান চলে এসেছিল মুখোমুখি? ডিজিসিএ-র (DGCA) এক অফিসারের দাবি, উত্তরের রানওয়ে ব্যবহার করা হচ্ছিল বিমান টেক অফের জন্য, আর দক্ষিণেরটি অবতরণের জন্য। কিন্তু পরে শিফট-ইন-চার্জ দক্ষিণের রানওয়ে বন্ধ করে দেন। অথচ তা সাউথ টাওয়ারের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে জানাননি। ফলে একই সময়ে দু’টি বিমান আকাশে ওড়ার অনুমতি পায়। আর এর জেরেই সংঘর্ষ ঘটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনার উল্লেখ এটিসির লগবুকে নেই।

তবে ডিজিসিএ-র প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পরস্পরের সঙ্গে কোনও সংযোগ না করেই উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ারের কন্ট্রোলাররা বিমান দু’টিকে ওড়ার সবুজ সংকেত দেন। এতেই তৈরি হয় সমস্যা। ডিজিসিএ-র পরিভাষায় বলা হয়েছে সেদিন বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ওই দু’টি বিমান ‘ব্রিচ অফ সেপারেশন’ ঘটিয়েছিল। এর অর্থ হল, যখন দু’টি বিমান একই আকাশসীমায় ন্যূনতম আবশ্যিক উল্লম্ব বা আনুভূমিক দূরত্ব পেরোয়। ইন্ডিগো এবং এএআই-এর তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

[আরও পড়ুন: জ্বলন্ত স্টোভের বিষাক্ত ধোঁয়া, ফ্ল্যাটের মধ্যেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু মা ও চার সন্তানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement