মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: আবারও গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ। বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিকেশ হয়েছে কুখ্যাত পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের দুই কুখ্যাত জেহাদি। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই ফের বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ, করোনা আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ৬]
জানা গিয়েছে, সন্ত্রাসজর্জর দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের সংঘর্ষ বাঁধে। কাসবায়ার এলাকায় জইশ জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পায় সেনাবাহিনী। তারপরই দ্রুত তৈরি করে ফেলা হয় অভিযানের নকশা। সেইমতো এদিন ভোরে জঙ্গিদের গোপন ডেরা ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী। জওয়ানদের উপস্থিতি জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে জেহাদিরা। বেশ কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর নিহত হয় দুই জঙ্গি।
বলে রাখা ভাল, কয়েকদিন আগেই শ্রীনগরের (Srinagar) রামবাগে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন সন্ত্রাসবাদীর মৃত্যু হয়। নিহত তিন জঙ্গির মধ্যে একজন ‘দ্য রেজিসটেন্স ফ্রন্টের (TRF) শীর্ষ স্থানীয় কমান্ডার। অন্য একজন হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য বলেও জানায় পুলিশ। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার নেপথ্যে ছিল ওই জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই পুলওয়ামায় সেনার সঙ্গে এনকাউন্টারে নিহত হয় জইশ-ই-মহম্মদের কুখ্যাত জঙ্গি মহম্মদ ইসমাইল আলভি ওরফে লম্বু। বলে রাখা ভাল, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতও সন্ত্রাস দমনে সেনা অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে। গত জুন মাসেই কাশ্মীরে লস্করের কমান্ডার নাদিম আবরার-সহ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী। কাশ্মীর উপত্যকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা ও হত্যার একাধিক ঘটনায় জড়িত ছিল সে। তার আগে গত মে মাসে কেন্দ্রশাসিত প্রদেশটির অনন্তনাগ জেলার কোকেরনাগ এলাকায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সন্ত্রাসবাদীদের। ওই সংঘর্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়। সব মিলিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় লস্করের কোমর ভেঙে সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় সেনাবাহিনী।