সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিয়াবাদের (Ghaziabad) শ্মশান (UP crematorium) দুর্ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছিল দেশজুড়ে। এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ঘটনায়। যার মধ্যে রয়েছে প্রধান অভিযুক্ত কনট্রাক্টর অজয় ত্যাগীও। এরই মধ্যে দু’টি চিঠির কথা জানা যাচ্ছে, যেখানে ওই শ্মশানঘাটের নির্মাণে খারাপ মানের সামগ্রী ব্যবহার করার ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। তবু উদাসীন ছিল প্রশাসন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, দু’টি চিঠিই লিখেছিলেন স্থানীয় এক বাসিন্দা। ২০১৯ সালের জুন ও জুলাই মাসে পরপর দু’টি চিঠিতে ওই শ্মশানঘাটের নির্মাণ সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করলেও তাতে কোনও রকম পাত্তাই দেওয়া হয়নি। অবশেষে রবিবার ঘটে গেল দুর্ঘটনা। প্রাণ গেল নিরীহ ২৫ জনের। কাদের লেখা হয়েছিল চিঠি দু’টি? জানা যাচ্ছে, এর মধ্যে একটি চিঠি পাঠানো হয় এগজিকিউটিভ অফিসার নীহারিকা সিংকে। যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নীহারিকা তাদের অন্যতম। অপর চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল খোদ গাজিয়াবাদের জেলাশাসককে। কিন্তু তিনিও কোনও রকম ভ্রুক্ষেপ করেননি। যা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, এই দুর্ঘটনা কার্যত অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল প্রশাসনিক গাফিলতিতেই। যেন তা যে কোনও দিনই ঘটার অপেক্ষায় ছিল।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের লাভ জেহাদ বিরোধী আইন কি আদৌ বৈধ? খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট]
ওই সংবাদমাধ্যমের আরও দাবি, ২০১৯ সালের আগস্টে সরকারি নির্দেশ জারি করা হয়েছিল, কনট্রাক্টরদের দিয়ে তৈরি করানো সব নির্মাণেরই যথাযথ অডিট করাতে হবে। কিন্তু গাজিয়াবাদের জেলাশাসক যে সঠিক রিপোর্ট দেননি, তা পরিষ্কার। কেননা যোগী সরকার আগেই জানিয়েছিল, ৫০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের কনট্রাক্ট দেওয়া যাবে না। কিন্তু রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সুসম্পর্কের খাতিরে প্রধান অভিযুক্ত অজয় ত্যাগী দেড় কোটি টাকারও বেশি মূল্যের নির্মাণের কনট্র্যাক্ট পেয়েছিলেন। এতেই স্পষ্ট হয়ে যায় দুর্নীতির দিকটি।
রবিবার সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল মুরাদনগরের ওই শ্মশানে। শনিবার স্থানীয় দয়ানন্দ কলোনির বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব এক ফল বিক্রেতা মারা গেলে পরদিন সকালে তাঁর মৃতদেহ দাহ করতে আসেন শ্মশানযাত্রীরা। সেই সময়ই আচমকা ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ একটি অংশ। ভেঙে পড়ে পিলার-সহ ছাদও। মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ২৫ জনের।