বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত ও দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্যপালের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে বিজেপির দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়। নেতৃত্বে রয়েছেন বিধানসভায় বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। সূত্রের খবর, বিধানসভার চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়া দুই বিজেপি বিধায়ক প্রসঙ্গেই আলোচনা হবে রাজভবনে।
গত সোমবার অর্থাৎ ৭ মার্চ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল-সহ সকলে পৌঁছে যান। প্রথা অনুযায়ী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের উদ্বোধনী ভাষণ দেওয়ার কথা। তার আগেই বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের আসনে বসে বেশ কিছুক্ষণ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন ধনকড়। এদিকে বিক্ষোভের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকে। পুরসভা নির্বাচনে অশান্তির অভিযোগ তুলে ক্রমশ সুর চড়াতে থাকে বিজেপি। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বিক্ষোভের জেরে বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন জগদীপ ধনকড়। সব মিলিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেস ব্যর্থ, বিজেপিকে রুখতে বিকল্প তৃণমূলই’, ৫ রাজ্যের ফলাফলে ‘জাগো বাংলা’য় তোপ শাসকদলের]
সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিধানসভায় বিজেপির দুই বিধায়ক মিহির গোস্বামী (Mihir Goswami) ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে সাসপেনশনের প্রস্তাব রাখেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। ধ্বনিভোটে পাশ হওয়ায়, দুই বিধায়ককে চলতি অধিবেশনের জন্য অর্থাৎ ২৮ মার্চ পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়। দুই বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন বিষয়টিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিজেপি। চলতি অধিবেশন বয়কট করার ডাক দেন তাঁরা। সেই মতো বিধানসভায় ধরনায় বসছেন বিজেপি বিধায়করা। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাজভবনে গেলেন সাসপেন্ডেড দুই বিধায়রক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে রয়েছেন মনোজ টিগ্গা।
শোনা যাচ্ছে, সাসপেনশন নিয়েই আলোচনা হবে এদিন। ৭ মার্চ ঠিক কী ঘটেছিল, হট্টগোলে কী ভূমিকা ছিল দুই বিধায়কের, তা নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলবেন। আলোচনা হবে সাসপেনশন প্রত্যাহার নিয়েও।