শেখর চন্দ্র, আসানসোল: ভরদুপুরে দামি বাইকে চেপে চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ল দুই চোর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে কুলটির মিঠানি গ্রামে। স্থানীয়রা উত্তম-মধ্যম ধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ওই দুই দুষ্কৃতীকে।
কুলটির মিঠানি গ্রামে নবপল্লির বাসিন্দা কৌশিক চট্টরাজ ও পিউ চট্টরাজ। দোতলা বাড়ি তাঁদের। কৌশিক ও পিউ দু’জনেই বেসরকিরা সংস্থায় কর্মরত। সকালে ঘরে তালা দিয়ে অফিস করতে যান। বিকেলে ফিরে আসেন। তবে সোমবার বিকেল ৫ টার আগেই ফিরে আসেন পিউ। এসে দেখেন বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বাইরের তালাটিও ভাঙা। মূহূর্তের মধ্যে পিউ বুঝতে পারেন, বাড়িতে কোনও দুষ্কৃতী ঢুকেছে । সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠেন।
[আরও পড়ুন: ফের বঞ্চিত বাংলা! প্রধানমন্ত্রী কিষান নিধির টাকা পাচ্ছেন না ১৫ লক্ষ কৃষক, জানাল রাজ্য]
পিউ চট্টরাজের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। বাইরের হই-হট্টগোল টের পেয়েই দুই চোর ছাদে উঠে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে চট্টরাজদের বাড়ি ঘিরে ফেলেছেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ আসার পরই বাড়িতে ঢুকে পড়েন প্রতিবেশীরা। দুই চোরকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা।
একটি কালো অ্যাভেঞ্জার বাইকে চেপে চুরি করতে এসেছিল চোরেরা। বাইকে কোনও নম্বর প্লেট নেই। সম্ভবত সেটিও চুরি করা। ধৃতদের সঙ্গে চুরির যন্ত্রপাতি ও একটি ব্যাগ ছিল, সেটিও নিয়ে যাওয়া হয়। গৃহকর্তা জানান, বাড়িতে দুদিন আগেই জমি বিক্রির দু’লক্ষ টাকা তাঁরা পেয়েছিলেন। বাড়িতে এসে দেখছেন সেই টাকা খোয়া গেছে। বেশ কিছু সোনার গয়না ছিল সেগুলিও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুরো বাড়ি তছনছ করে দেয় চোরেরা। পরে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন চট্টরাজ দম্পতি। তাঁদের অভিযোগের ভিত্ততে তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।