সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়রা ভাল খেলেও চলতি মরশুমে কোনও ট্রফি জিততে পারেনি। তাই প্রত্যাশা ছিল ছোটরা অন্তত সে আসা পূরণ করতে পারবে। কিন্তু তীরে এসেও ডুবল তরী। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে হেরেছিল দাদারা। আর ভাইরা হেরে গেল আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে। রবিবার ১২১ তম আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে মোহনবাগান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৩-০ গোলে হারাল এফসি পুণে সিটি-র অনূর্ধ্ব ১৯ দল। তাও কিনা মোহনবাগানের ঘরের মাঠেই।
[সম্প্রীতির নজির, ৩৪ বছর ধরে রোজা পালন এই হিন্দু মহিলার]
দেশের অন্যতম ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্ট হিসেবেই ধরা হয় আইএফএ শিল্ডকে। কিন্তু বিগত কয়েকবছরে এই টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা গিয়ে ঠেকেছে একদম তলানিতে। ১৯১১ সালে ব্রিটিশ দল ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল মোহনবাগান। আর এখন কবে টুর্নামেন্ট শুরু হল আর কবেই বা শেষ হয়ে গেল, ফুটবলপ্রেমীরা যেন তার খোঁজও রাখেন না। আর অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্ট হয়ে যাওয়ায় জৌলুস যেন আরও ফিকে হয়ে গিয়েছে।
[কেমন হবে শেফ ঋত্বিকের ‘মাছের ঝোল’-এর রেসিপি?]
তবে এদিন কিন্তু মাঠে প্রিয় দলের সমর্থনে ভিড় করেছিলেন অনেক সমর্থকই। তবে ফেডারেশন কাপ এবং আই লিগের পর ফের একবার শেষ ল্যাপে পিছিয়ে পড়ল বাগান। ম্যাচে জোড়া গোল করে নায়ক গনি আহমেদ নিগম। এছাড়া অপর গোলটি করেন পরিবর্ত হিসেবে নামা বলকার সিং। গোটা টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন গনি। এদিনও মোহনবাগানকে প্রথম ধাক্কাটি দেন তিনি। কিছু পরে পেনাল্টি থেকে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন। পরে পরিবর্ত হিসেবে নামা বলকার সিং বাগানের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন।
[‘গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া’র নাম বদলের প্রস্তাব বিজেপি নেতার]
এদিন গোটা ম্যাচে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে বাগানের খেলোয়াড়রা। ম্যাচ শেষে তাই কোচ জো পল আনচেরির গলায় আক্ষেপের সুর। বলেন, ‘শিল্ডে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করাটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আজ তারই শিকার হলাম আমরা।’ এদিকে, এফসি পুণে সিটির দলটি গোটা টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত ফর্মে ছিল। এর আগে মে মাসে গোয়া সুপার কাপ জিতেছিল তাঁরা। এবার ঐতিহ্যশালী আইএফএ শিল্ড। প্রমাণ করে দিল ঠিক দিকেই এগোচ্ছে আইএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের ইউথ সিস্টেম।
[চোর চোর…ওভালে ম্যাচ দেখতে এসে খোরাক বিজয় মালিয়া]
The post ঘরের মাঠে মোহনবাগানকে হারিয়ে আইএফএ শিল্ড এফসি পুণে সিটির appeared first on Sangbad Pratidin.