সংযুক্ত আরব আমিরশাহী: ৬ (আলি মাবখাউত- ৩, খলিল, ফাবিও লিমা, সেবাস্তিয়ান)
ভারত: ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে ছাড়াই শক্তিশালী ওমানকে ১-১ ব্যবধানে রুখে দিয়েছিল ভারত (India)। একাঝাঁক তরুণ ফুটবলারের সাহায্যেই ম্যাচ ড্র করতে পেরেছিল ইগর স্টিম্যাচের দল। কিন্তু সোমবার ঠিক যেন উলটপূরাণ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কাছে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ল ভারতীয় দল। ৬-০ গোলে ব্লু টাইগারদের হারাল UAE। হ্যাটট্রিক করলেন আলি মাবখাউত। একটি করে গোল খলিল, ফাবিও লিমা এবং সেবাস্তিয়ানের। অন্যদিকে, ভারতের হয়ে কেউই গোলের মুখ খুলতে পারেননি।
করোনা আক্রান্ত হলেও বর্তমানে সুস্থ ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। কিন্তু তাঁকে ছাড়াই ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে দল নির্বাচন করেছিলেন ইগর স্টিম্যাচ। ওমানের সঙ্গে ড্রয়ের পর সাফ জানিয়েছিলেন, সোমবারের ম্যাচেও ভরসা রাখবেন তরুণ ভারতীয় দলের উপরই। সুযোগ দেবেন যাঁরা গত ম্যাচে সুযোগ পাননি তাঁদেরও। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মতো শক্তিশালী দলের কাছে গোটা ম্যাচেই নাকানি-চোবানি খেলেন মনবীররা। ম্যাচ শেষে পরতেও হল হাফ ডজন গোলের মালা।
[আরও পড়ুন: চলতি বছর দ্বিতীয়বার, পোলার্ডের পর এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকালেন এই ক্রিকেটার]
এদিন শুরু থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ১২ মিনিটেই গোলের মুখও খুলে ফেলে তাঁরা। ফাবিও লিমার লং বল থেকে ভারতীয় রক্ষণের অফসাইড ট্র্যাপকে এড়িয়ে দলের এবং নিজের প্রথম গোলটি করেন আলি মাবখাউত। এরপর ৩০ মিনিটে পেনাল্টি পায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। তা থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন আলি। বিরতিতে খেলার ফল ছিল ২-০। তখনও কেউ ভাবেননি, ভারত এত বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারতে পারে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দুটি বদলও করেন স্টিম্যাচ। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ হয়নি। প্রথমার্ধের মতোই ভারতীয় রক্ষণের একাধিক ভুলের সুযোগ নিতে থাকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। ম্যাচের বয়স তখন ৬০ মিনিট। আরও একবার গোল আলির। সেই সঙ্গে হ্যাটট্রিকও সম্পন্ন করেন তিনি। এরপরই যেন ভারতীয় গোলের দরজা একেবারেই খুলে যায়। আলির হ্যাটট্রিকের চার মিনিট পরেই গোল করেন খালিল। এরপর ৭১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লিমা। আর ৮৪ মিনিটে ভারতের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন সেবাস্তিয়ান। মূলত গোটা ম্যাচে বিশ্রী ফুটবলের খেসারতই এদিন দিলেন ইগর স্টিম্যাচের ছেলেরা। রক্ষণ, মাঝমাঠ এবং ফরোয়ার্ড- সব বিভাগেই ব্যর্থ ভারতীয় ফুটবলাররা। আর তারই প্রতিচ্ছবি ধরা পড়ল স্কোরবোর্ডে। হার হাফ ডজন গোলে।