সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহানাটক অব্যাহত। ‘বিদ্রোহী’ একনাথ শিণ্ডে ও তাঁর অনুগত বিধায়কদের দল রয়েছে গুয়াহাটিতে। সূত্রের দাবি, সেখানে রীতিমতো ‘জামাই আদর’ পাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে সরকার বাঁচাতে অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে উদ্ধব শিবির। এর মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) ছেলে আদিত্য ঠাকরে (Aaditya Thackeray)। তাঁর দাবি, তাঁর বাবা নাকি গত ৩০ মে একনাথ শিণ্ডে মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন।
ঠিক কী বলেছিলেন তিনি? এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রীর দাবি, গত মাসেই শিণ্ডেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। পাশাপাশি, এই বিষয়ে বিজেপির কোনও যোগ নেই এমন দাবিও উড়িয়ে দেন তিনি। তাঁর কথায়, ”যদি বিজেপি এতে যুক্তই না থাকবে, তাহলে কেন তাদের লোকেরা ওই বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন?” গতকালই আদিত্য ঠাকরে বলেছিলেন, বিধায়করা চলে যাওয়াতে তাঁদের নাকি ভালই হয়েছে। এই বেইমানি মনে রাখা হবে। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, যত সময় যাচ্ছে উদ্ধব শিবিরের আত্মবিশ্বাস তত বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরার তিন কেন্দ্রে ফুটল পদ্ম, আগরতলায় বিজেপির কাঁটা সেই সুদীপ]
এদিকে জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল ৬টায় একটি জনসভায় যোগ দেবেন উদ্ধব। সেখানে তাঁর ভাষণ দেওয়ার কথা। এই পরিস্থিতিতে তিনি ওই ভাষণে কী বলেন, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এদিকে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তবে দিল্লিতে যে এই বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি তাও জানিয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর কথায়, ”যে বিধায়করা বলছেন তাঁদের নাকি এনসিপির সঙ্গে সমস্যা রয়েছে, সেটা স্রেফ বাহানা ছাড়া কিছু নয়। গত আড়াই বছরে তাঁরা কোথায় ছিলেন?” পাশাপাশি বিজেপিকে তোপ দেগে পওয়ার জানাচ্ছেন, ”শিণ্ডে বলেছিলেন, একটি জাতীয় পর্যায়ের দল তাঁদের সমর্থন করছে। এখন পরিষ্কার, ওঁরা বিজেপির কথাই বলছিলেন।”
সূত্রের দাবি, শিণ্ডেরা এখনই মুম্বই ফেরার কথা ভাবছেন না। আরও অন্তত সপ্তাহখানেক গুয়াহাটিতেই থেকে যেতে চান তাঁরা। একনাথ শিণ্ডের আশঙ্কা, মুম্বই ফিরে গেলে একাধিক বিধায়ক আবার শিবির বদলে উদ্ধব শিবিরে নাম লেখাতে পারেন। সেজন্য গুয়াহাটির হোটেলেও সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। বিধায়কদের বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করতে দেখা হচ্ছে না। সবসময় সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ডামাডোল অব্যাহত রইল সপ্তাহ শেষে। আগামী সপ্তাহে তা কোনদিকে মোড় নেয় আপাতত সেদিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।