সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে রাজ্য সরকার ঠিকমতো কাজ করছে না। আইনশৃঙ্খলার এমনই পরিস্থিতি যে মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) মতো মানুষও নিরাপদ নন! এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি রাখার ঘটনায় শুক্রবার উদ্ধব ঠাকরের সরকারকে এভাবেই বিঁধলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ নারায়ণ রানে।
রিলায়েন্স (Reliance) কর্ণধার তথা দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA গ্রেপ্তার করেছে মুম্বইয়ের পুলিশ অফিসার শচীন ওয়াজেকে। এদিন শচীনের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে নারায়ণের দাবি, ”শচীন ওয়াজে যা করেছে সেই প্লটের পিছনে রয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে।” তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, ”মুখ্যমন্ত্রীই শচীনের গডফাদার। ওঁকে পদত্যাগ করতে হবে।”
একই অভিযোগ মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশেরও। শচীনের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে খোঁচা মেরে তাঁর দাবি, ”ওয়াজে ছোট মুখ। কেবল তাঁকে দায়ী করলেই কেসটির সমাধান হবে না। এই চক্রান্তের পিছনে কারা? এটা তদন্তে উঠে আসা দরকার। যে রাজনৈতিক গুরুরা শচীনকে নিয়ন্ত্রণ করছিল, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাখতে হবে রাজ্য পুলিশকেও, কমিশনে দাবি তৃণমূলের]
এদিকে ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়ার বিষয়ে বিজেপিকে পালটা আক্রমণ করেছে শিবসেনা। তাদের দলীয় মুখপাত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনও সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও কেন তা এনআইএ-র হাতে দেওয়া হল সেপ্রশ্ন তুলেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। তাদের প্রশ্ন, ”উরি, পাঠানকোট কিংবা পুলওয়ামার হামলার ঘটনায় এনআইএ কী তদন্ত করেছে? ক’জন গ্রেপ্তার হয়েছে? আজও এটা একটা রহস্য। অথচ ২০টি জিলেটিন স্টিক রাখার ঘটনাই যেন এনআইএ-র কাছে মস্ত চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।”
ইতিমদ্যে তদন্তে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এনআইএ ও মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। একটি ভিডিও পাওয়া গিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, মনসুখ হিরনের সঙ্গে ১৭ ফেব্রুয়ারি দেখা করেছিলেন শচীন ওয়াজে। একটি মার্সিডিজের মধ্যে বসে তাঁদের কথা বলতে দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, যে গাড়িতে বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল সেটির মালিক ছিলেন মনসুখ। ৫ মার্চ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।