সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেওয়াল লিখন কি তিনিও পড়তে পারছেন? বিরোধীদের দাবি, তাঁর সরকারের মেয়াদ ফুরিয়ে এসেছে। তাঁর নিজের দলেরই একটা বড় অংশ সঙ্গে নেই। সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ না করলে বৃহস্পতিবারই আস্থাভোটের সম্মুখীন হতে হবে উদ্ধব ঠাকরেকে (Uddhav Thackeray)। তার ঠিক আগে বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ডেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে দিয়ে দিলেন ইস্তফার ইঙ্গিতও।
দীর্ঘদিনের দাবি মেনে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের (Aurangabad) নাম ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের ছেলে শম্ভাজির নামে করার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে উদ্ধবের দেওয়া প্রস্তাব পাশও হয়ে গিয়েছে। এখন থেকে ঔরঙ্গাবাদের নাম হবে শম্ভাজি নগর (Shambhaji Nagar)। একই সঙ্গে নাম বদলানো হয়েছে অসমানাবাদ শহরেরও। ওই এলাকাটির নতুন নাম দেওয়া হয়েছে দারাশিব। দু’টি সিদ্ধান্তই উদ্ধব নিয়েছেন মূলত নিজের হিন্দুত্ববাদী ভাবমূর্তি রক্ষা করতে। সূত্রের খবর, এই নাম বদলের প্রস্তাবে একেবারেই রাজি ছিল না শিব সেনার (Shiv Sena) জোটসঙ্গী এনসিপি (NCP)। আসলে, বিদ্রোহী শিব সেনা নেতারা অভিযোগ এনেছিলেন উদ্ধব জোটসঙ্গীদের চাপে পড়ে হিন্দুত্ববাদ বিসর্জন দিচ্ছেন। সেই অভিযোগ খণ্ডন করতেই এদিন পুরোপুরি হিন্দুত্ববাদের তকমা সাঁটা দুটি সিদ্ধান্ত নিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড়ের মধ্যেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের]
রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি বৃহস্পতিবারই আস্থাভোটের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গিয়েছে উদ্ধব সেনা। শীর্ষ আদালতে এদিন সেই মামলার শুনানি যখন শুরু হল, তখনই মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকেন উদ্ধব ঠাকরে। শিব সেনার একাধিক মন্ত্রী সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেও এনসিপি এবং কংগ্রেসের (Congress) বেশিরভাগ মন্ত্রীই উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা কেন্দ্রের, আম্বানিদের নিরাপত্তায় ত্রিপুরা হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের]
সূত্রের দাবি, মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষ তিন মিনিটে আবেগপ্রবণ উদ্ধব ঠাকরে নিজের ইস্তফার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আড়াই বছর ধরে পাশে থাকার জন্য এনসিপি এবং কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আগামী দিনেও তিনি একইরকম সাহায্য প্রার্থনা করেন বলেও জানিয়েছেন উদ্ধব। তাঁর ছেলে তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুকূলে না গেলে ইস্তফা দিতে পারেন উদ্ধব। শিব সেনা সূত্রের খবর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরই নির্ভর করছে উদ্ধবের ভাগ্য। শীর্ষ আদালত যদি বৃহস্পতিবার আস্থাভোটের নির্দেশ দেয়, তাহলে আস্থাভোটের আগেই ইস্তফা দিতে পারেন তিনি।