সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিব সেনার (Shiv Sena) নাম-প্রতীক ফেরত চেয়ে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করেছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ঠাকরে পরিবারের আসল ভিলেন কে, তা বোঝাতে শেখর কাপুর পরিচালিত ‘মিঃ ইন্ডিয়া’ সিনেমার সংলাপও আওড়েছেন। বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে মোগ্যাম্বো খুশ হুয়া!” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, অমিত শাহকে কটাক্ষ করেছেন উদ্ধব। এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন (National Election Commission) উঠে যাওয়া উচিত বলেও তোপ দাগলেন উদ্ধব। তাঁর মতে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়া উচিত নির্বাচন কমিশনারদের।
মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন, “এমন একটি দৃষ্টান্ত নেই যেখানে দলের নাম ও প্রতীক সরাসরি একটি দলকে দেওয়া হয়েছে।” কাদের প্রতিক দেওয়া হবে এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্তের পিছনে ষড়যন্ত্র দেখছেন উদ্ধব। তবে তাঁর দাবি, “দলের নাম ও প্রতীক কেড়ে নিলেও ঠাকরে পদবী কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আমি গর্বিত যে বালাসাহেব ঠাকরের পরিবারে জন্মেছি। আমার এই শ্লাঘাকে দিল্লির (কেন্দ্রের) সাহায্য নিয়েও ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না।”
[আরও পড়ুন: রামদেবের সময়ের মূল্য আদানি, আম্বানি, টাটা, বিড়লার চেয়ে বেশি! ব্যাখ্যাও দিলেন যোগগুরু]
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে বিজেপি, অভিযোগ করেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, নীতীশ কুমাররা তাঁর পাশে রয়েছেন। ফোন করে আশ্বাস দিয়েছেন। উদ্ধব বলেন, “বিজেপি আমাদের সঙ্গে যা করেছে, অন্যদের সঙ্গেও করতে পারে। এমনটা যদি চলতে থাকে, তবে ২০২৪ সালের পরে দেশে গণতন্ত্র থাকবে না, নির্বাচন থাকবে না।” উদ্ধব আরও বলেন, “সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের জন্য অপেক্ষা করা উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের।”
[আরও পড়ুন: মোদির জনসভার অনুমতি খারিজ মেঘালয়ে, ‘প্রধানমন্ত্রীকে রোখা যাবে না’, পালটা হুঙ্কার BJP’র]
এদিকে শিণ্ডে গোষ্ঠী নাম-প্রতিক পাওয়ার পর শিব সেনার দলীয় তহবিলের অধিকারও দাবি করল এবার। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে সম্পূর্ণ অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে শিবসেনার তহবিলের অধিকার দাবি করেছেন। এই বিষয়ে পদাধিকারীদের নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকও ডেকেছেন তিনি। সব মিলিয়ে শিবসেনা তথা উদ্ধব ও শিন্ডের লড়াই নিয়ে সরগরম মহারাষ্ট্রের রাজনীতি।