স্টাফ রিপোর্টার: ইকাই গুন্দোগানের (Ilkay Gundogan) একটা ঘোরতর সমস্যা আছে। জার্মান অধিনায়ক দেশের জার্সিতে এক রকম। ক্লাবের জার্সিতে আর এক রকম!
ক্লাব ফুটবলে গুন্দোগানকে নিয়ে রীতিমতো টানাটানি পড়ে যায়। এক বছর আগে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি অধিনায়ক হিসেবে ত্রিমুকুট জিতেছিলেন। পরে বার্সেলোনা যান প্রধান প্লে মেকার হিসেবে। পেপ গুয়ার্দিওলা থেকে জাভি হার্নান্ডেজ। টমাস টুখেল থেকে য়ুরগেন ক্লপ। জার্মানি অধিনায়ককে সবাই অত্যন্ত উঁচু নজরে দেখেন। কিন্তু জার্মানির জার্সিতে গুন্দোগান কখনও স্মরণীয় কিছু করতে পারেননি। যে কারণে জার্মান ফুটবলমহলে একটা চুটকি চলে যে, দেশের জার্সিতে ইকে গুন্দোগান খেলেন না। খেলেন, তাঁরই মতো দেখতে অন্য কেউ! তাঁর সমদর্শী!
[আরও পড়ুন: ঘরের মাটিতে ইউরো জয়ের লক্ষ্যে নামছে ক্রুজ-মুসিয়ালারা, একনজরে জার্মানির শক্তি-দুর্বলতা]
আজ শুক্রবার জার্মানি বনাম স্কটল্যান্ড যুদ্ধ দিয়ে ঢাকে কাঠি পড়ছে ইউরো কাপের (UEFA Euro 2024)। স্কটিশ ফুটবলার বিলি গিলমোরের মতো কেউ কেউ ইতিমধ্যে জার্মানিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন বটে যে, জার্মানিকে হারাতে তাঁরা সম্পূর্ণ তৈরি। জার্মানি কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যান (Julian Nagelsmann) স্বীকারও করে নিচ্ছেন যে, স্কটরা তাঁদের চাপে রাখবেন। প্রাক্ ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে জার্মানি কোচ বলে গেলেন, ‘‘স্কটল্যান্ড টিমে অন্তত চার থেকে পাঁচ জন ভালো প্লেয়ার রয়েছে। প্রচুর ক্রস তোলে ওরা। আমরাই চাপে থাকব ওদের বিরুদ্ধে।’’ কিন্তু স্কটল্যান্ডের চেয়েও নিজের অধিনায়কের দেশের জার্সিতে ‘ক্ষতবিক্ষত’ রেকর্ড নাগেলসম্যানকে অধিক চাপে রাখবে না কি? আলবাত রাখবে।
[আরও পড়ুন: আইএসএলের সেরা স্ট্রাইকার ইস্টবেঙ্গলেই, ২ বছরের চুক্তিতে লাল-হলুদে দিমিত্রি]
জার্মান কোচ অধিনায়ককে নিয়ে কিছু বলেননি। গুন্দোগান স্বয়ং বলেছেন। বলেছেন যে, ‘‘স্কটল্যান্ড ম্যাচটা আমাদের পক্ষে সহজ হবে না। ওরা আমাদের ভোগাবে। তবে আমি চেষ্টা করব, পেপের (পেপ গুয়ার্দিওলা) থেকে পাওয়া ফুটবল শিক্ষা কাজে লাগাতে। দেশকে জেতাতে।’’ তবে গুন্দোগান-নাগেলসম্যানরা একটা বিষয় ভেবে স্বস্তি পাবেন। মাঝমাঠে অভিজ্ঞ টনি ক্রুসকে তাঁরা পাচ্ছেন। যাঁকে অনেক বুঝিয়েসুঝিয়ে ইউরো খেলতে রাজি করাতে হয়েছে। নাগেলসম্যান বলছিলেন, ‘‘টনিকে বোঝাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে আমাকে। টনি বলেছিল, টিমে অবদান রাখতে পারলে, তবেই খেলবে। শেষে রাজি হয়।’’ জার্মানির কোচকে জিজ্ঞাসা করা হয়, শেষ তিনটে বড় টুর্নামেন্ট নিয়ে। ২০১৮ বিশ্বকাপ। ২০২১ ইউরো। ২০২২ বিশ্বকাপ। তিনটে টুর্নামেন্টের একটাও ভালো যায়নি জার্মানির। যদিও নাগেলসম্যান অতীত মনে রাখতে চান না। বলে গেলেন, ‘‘আমি অতীত মনে রাখি না। গত বারের চেয়ে ভালো করাই আমাদের লক্ষ্য। আমি ছেলেদের বলেছি, এত দিন পরিশ্রম করেছে তোমরা। এবার মাঠে গিয়ে সর্বস্ব দাও।’’
সে আশা পূর্ণ হবে, না আশা হয়েই থেকে যাবে, উত্তর আজ থেকে।