সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বমহিমায় ফিরছে ইউরোপ সেরার লড়াই। বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট ইউরো কাপ। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে ইউরো কাপ ২০২৪ (UEFA Euro 2024)। অতএব বঙ্গ ফুটবলপ্রেমীদের রাত জাগার পালা শুরু। ঘরের মাঠে উদ্বোধনী ম্যাচে নামছে জার্মানি (Germany Football Team)। সামনে প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। সাম্প্রতিক সময়ে বড় টুর্নামেন্টে সাফল্য পায়নি ২০১৪-র বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এবার কি দেশের সমর্থকদের সামনে স্বপ্নপূরণ হবে? একনজরে রইল জার্মানির শক্তি-দুর্বলতা।
গ্রুপ এ
ফিফা র্যাঙ্কিং ১৬
কোচ: জুলিয়ান নাগেলসমান।
বয়স মাত্র ৩৬। কিন্তু ইতিমধ্যেই লাইপজিগ, বায়ার্ন মিউনিখের মতো বড় ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন। ২০২২-র বিশ্বকাপে হান্সি ফ্লিকের ব্যর্থতার পর দায়িত্বে আসেন তিনি।
শক্তি: ইউরো কাপে জার্মানির মূল ভরসা হয়ে উঠতে পারে তাদের মিডফিল্ড। দুই অভিজ্ঞ যোদ্ধা ইকাই গুন্দোগান আর টোনি ক্রুজের দিকে তাকিয়ে সমর্থকরা। অবসর ভেঙ্গে ক্রুজ ফিরে আসার পর নতুন ছন্দে ডানা মেলেছে জার্মানি। তার সঙ্গে রয়েছে জামাল মুসিয়ালা আর ফ্লোরিয়ান উইৎজ। ২১ বছর বয়সি মুসিয়ালা এর মধ্যেই ইউরোপের তারকা হয়ে উঠেছেন। বায়ার লেভারকুসেনের এবার বুন্দেশলিগা জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন উইৎজ।
গোল পোস্টের তলায় এখনও বিশ্বস্ত হাত ম্যানুয়েল নয়্যার। যার জন্য রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে হয় টের স্টেগানকেও। আক্রমণভাগে 'বুড়ো ঘোড়া' থমাস মুলার যে কোনও সময়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন। ছন্দে আছেন কাই হাভার্ৎজ, নিকলাস ফুলক্রুগরা।
[আরও পড়ুন: আইএসএলের সেরা স্ট্রাইকার ইস্টবেঙ্গলেই, ২ বছরের চুক্তিতে লাল-হলুদে দিমিত্রি]
ডাগ আউটে নাগেলসমানের ক্ষুরধার মস্তিষ্ক পরিচালনা করবে গোটা জার্মান দলকে। বল দখল রাখতে পছন্দ করে তাঁর দল। প্রয়োজন বুঝে একাধিক ফর্মেশনে চলে যেতে পারেন। অনেকেই তাঁর মধ্যে ভবিষ্যতের ক্লপের ছায়া দেখছেন।
দুর্বলতা: সাম্প্রতিক অতীত একেবারেই জার্মানির হয়ে কথা বলছে না। বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়। গত ইউরোয় শেষ ষোলোর গণ্ডির টপকাতে পারেনি। জার্মানির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। হেরেছে অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, তুরস্কের মতো দলের কাছে। তবে সর্বশেষ দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস আর ফ্রান্সকে হারিয়ে দিচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস।
[আরও পড়ুন: কে জিততে পারে ইউরো? কী রায় দিলেন বিশ্বফুটবলের পণ্ডিতরা?]
জার্মানিকে সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে 'নম্বর নাইনের' অভাব। বহুদিন ধরেই বিশ্বমানের স্ট্রাইকার নেই তাদের দলে। কাই হাভার্ৎজের দিকে নজর থাকবে ফুটবল ভক্তদের। ফলস নাইন হিসেবেও খেলানো হতে পারে তাঁকে।
অভিজ্ঞতার অভাব আছে লেফট ব্যাকে। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কারা হবেন সেটাও চর্চায় থাকবে। বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নাগেলসমানের অভিজ্ঞতার অভাব একটা চিন্তার বিষয় হতে পারে।