সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: NEET-এর বিতর্কের পর এবার UGC-NETএর প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে জলের দরে বিক্রি হচ্ছিল নিটের প্রশ্নপত্র। দাম কোথাও ১০ হাজার, তো কোথাও মাত্র ৫ হাজার। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই পরীক্ষা বাতিল করে শিক্ষামন্ত্রক।
সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পরীক্ষার আগে দফায় দফায় টেলিগ্রামে প্রশ্নপত্রের স্কিনশট পোস্ট করা হচ্ছিল। পাশাপাশি একাধিক লিঙ্কও পোস্ট করা হয়। এই খবর শিক্ষামন্ত্রকের কাছে এলে সেই প্রশ্নপত্র আসলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা যায় তা পুরোপুরি একই। এর পরই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করে শিক্ষামন্ত্রক। বাতিল করা হয় পরীক্ষা। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রশ্নপত্র কোথাও ৫ হাজার তো কোথাও ১০ হাজার টাকার বিক্রি করছিল দুষ্কৃতীরা। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে টেলিগ্রামই (Telegram) প্রশ্নফাঁসের এপিসেন্টার। তবে টেলিগ্রাম গ্রুপের অ্যাডমিনদের কাছে কোথা থেকে এল তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ডার্ক ওয়েবে ফাঁস নেটের প্রশ্নপত্র, কেন্দ্রের অভিযোগের পরই মামলা দায়ের সিবিআইয়ের]
উল্লেখ্য, NEET নিয়ে কারচুপির নিয়ে তীব্র বিতর্কের মাঝেই বুধবার ইউজিসি-নেট বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। অস্বচ্ছতার কারণ দেখিয়ে এই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। শিক্ষামন্ত্রকের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালিসিস ইউনিটের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে গরমিলের অভিযোগ এসেছে। আর ওই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, পরীক্ষায় বেনিয়ম হয়েছে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে শিক্ষামন্ত্রকের তরফে। পাশাপাশি এনটিএ-এর তরফে তদন্তের জন্য গঠন করা হয়েছে বিশেষ টিম।
[আরও পড়ুন: এখনই কার্যকর নয় বিতর্কিত তিন ফৌজদারি আইন, মোদিকে চিঠি মমতার]
গতকাল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান নিজেই স্বীকার করেন, NTA’র পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে গলদ ছিল। প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল ডার্ক ওয়েবে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “পরীক্ষার পরের দিন বিকেল ৩টে নাগাদ আমরা জানতে পারি, ডার্ক নেটে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। মূল প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা যায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে সেটা হুবহু মিলে গিয়েছে। এর পরই আমরা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলির উপর নজরদারি চালানো কঠিন। প্রশ্নফাঁসে সেই ধরনের অ্যাপই ব্যবহৃত হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে আমরা আপস করব না।"