সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুবছর পেরিয়ে গেলেও থামেনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। হানাহানি, রক্তপাত, হামলা পালটা হামলা সব কিছুই অব্যাহত। এই লড়াইয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট খারকভ-সহ অন্যান্য জায়গায় আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দিয়েছে রুশ ফৌজ। কিন্তু পিছু হঠছে না কিয়েভ। রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলে ৩০ কিমি ভিতরে ঢুকে পড়েছে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা! ইতিমধ্যেই সেখান থেকে সরানো হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি করেছে মার্কিন গবেষণা সংস্থা দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার।
গত জুন মাসে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ থামিয়ে শান্তির পথ খুঁজতে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয় ‘ইউক্রেন পিস সামিট’। যার নিটফল শূন্যই বেরোয়। । ফলে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপেও এর কোনও রফাসূত্র মেলেনি। দুদেশের সংঘাত অব্যাহত। মার্কিন সংস্থাটির রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ রাশিয়ার কারস্ক অঞ্চলে আক্রমণ শানাচ্ছে ইউক্রেন। সেখানে হাজার খানেক সেনা ও দুডজন সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কও। এনিয়ে রুশ সেনার এক জেনারেল নাকি জানিয়েছেন, "কার্স্কের ৩০ কিমি ভিতরে ঢুকে পড়েছে ইউক্রেনের সেনা। সেখানে তাঁরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরাও তাদের পালটা মার দিচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি আমরা ইউক্রেনীয় সেনাকে ওই অঞ্চল থেকে হঠিয়ে দেব।" যদিও এই রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালানো নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি ইউক্রেন।
[আরও পড়ুন: নাদিমের সাফল্যের ‘ক্ষীর’ খাওয়ার চেষ্টা শরিফের! নেট দুনিয়ায় ট্রোলড পাক প্রধানমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের একাধিক জায়গায় রাশিয়ার মিসাইল হামলায় নিহত হন অন্তত ২৪ জন। হামলা হয় এক শিশু হাসপাতালেও। ইউক্রেনের অভিযোগ ছিল, মূলত শিশু হাসপাতালকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছে। আশেপাশের বহু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয় রুশ ফৌজের আক্রমণে। বলে রাখা ভালো, সুইজারল্যান্ডের শান্তি বৈঠকের আগে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কিয়েভকেই শর্ত বেঁধে দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “আমরা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতেই পারি। কিন্তু তার জন্য ইউক্রেনকে নেটোতে যোগদানের পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। তাহলেই আমরা আলোচনায় বসতে পারি। ডোনেটস্ক, লুহানস্ক, জাপরিজজিয়া ও খেরসন থেকে পুরোপুরীভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে ইউক্রেনকে। তবেই আমরা শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে বৈঠকে বসব।” কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই এতে সম্মত হয়নি কিয়েভ। বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ায় ঢুকে হামলা চালিয়ে ইউক্রেন বুঝিয়ে দিয়েছে যে, এই যুদ্ধে তারা সহজে হার মানবে না।