সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আড়াই বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও থামেনি লড়াই। রাশিয়াকে পালটা মার দিয়ে রণক্ষেত্রের ছবি বদলে দিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। এবার কিয়েভের নিশানায় মস্কো! মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার রাজধানীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধেয়ে আসে ইউক্রেনের ড্রোন। কিন্তু হামলার চালানোর আগেই সেগুলোকে গুলি করে নামিয়ে দেয় রুশ ফৌজ। ক্রেমলিনের খানিক দূরেই আছড়ে পড়ে ৩টি ড্রোন। এখানেই রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন।
গত কয়েকমাসে ইউক্রেনে আক্রমণে ধার বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিন্তু পিছু হঠেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। চলতি আগস্ট মাসেই ইউক্রেনীয় বাহিনী কার্স্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। হামলা চলছে সেখানে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর একাধিকবার মস্কোতে হামলার অভিযোগ উঠেছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে। বুধবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতে মস্কোর আকাশে হানা দেয় ইউক্রেনের এক ঝাঁক ড্রোন। কিন্তু হামলার করার আগেই ধ্বংস করে দেওয়া হয় ৩টি ড্রোন। ১৫টি গুলি করে নামানো ব্রায়ানস্ক সীমান্তে। বাকি ৩ ড্রোনকে ধ্বংস করে দেওয়া হয় ক্রেমলিনের প্রায় ৩৮ কিমি দক্ষিণে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে ইরানগামী বাসে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৩৫ পুণ্যার্থী]
২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাঁধভাঙা জলের জেলেনস্কির দেশে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। তার পর থেকে জারি রয়েছে লড়াই। দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধ করার ফলে গত কয়েকমাস ধরে রণক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল কিয়েভকে। কিন্তু এখন তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যেভাবে পুতিন বাহিনী ইউক্রেনে ঢুকে অভিযান শুরু করেছিল এবার সেভাবেই কার্স্কে ঢুকে আক্রমণ শানাচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। কার্স্কে দুই সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে। ইতিমধ্যে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন।
ইউক্রেনের এক শীর্ষ কমান্ডারের দাবি, গত আড়াই বছরে এটাই তাদের সবচেয়ে বড় আন্তঃসীমান্ত অভিযান। ইতিমধ্যেই প্রায় হাজার স্কোয়ার কিলোমিটারের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে গিয়েছে। এই অভিযান নিয়ে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, “ইউক্রেন এটাই প্রমাণ করছে যে আমরা ন্যায় পুনরুদ্ধার করতে পারি। আক্রমণকারীর উপর যেকোনও ধরনের চাপ তৈরি করতে আমরা সব সময় প্রস্তুত।” ফলে এই যুদ্ধের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট হয়ে উঠেছে কার্স্ক।