সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুবছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ছবি খুব একটা বদলায়নি। আক্রমণ পালটা আক্রমণে এখনও বজায় রয়েছে যুদ্ধের ঝাঁজ। গত কয়েক মাসে হামলা আরও তীব্র করেছে রুশ ফৌজ। এতদিন ফ্রন্টলাইনে ইউক্রেন ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছিল আমেরিকার দেওয়া ট্যাঙ্কগুলো। তবে রণক্ষেত্র থেকে সেই অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কই সরিয়ে নিচ্ছে কিয়েভ। কিন্তু কেন?
২০২২ সালে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে আমেরিকা। মার্কিন যুদ্ধাস্ত্রে বলীয়ান হয়ে রুশ বাহিনীকে পালটা মার দিচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। ২০২৩ সালে কিয়েভকে ৩১টি অত্যাধুনিক আব্রামস ট্যাঙ্ক দিয়েছিল ওয়াশিংটন। এবার এই ট্যাঙ্কগুলোকেই সরানো হচ্ছে যুদ্ধের ময়দান থেকে। কারণ, যত দিন যাচ্ছে রাশিয়ার ড্রোন হামলার পরিমাণ বাড়ছে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের দুর্বলতার জন্য সেই আক্রমণ ঠেকাতে পারছে না ইউক্রেনীয় ফৌজ। সঠিক সময় শনাক্ত করা যাচ্ছে না রুশ নজরদারি ড্রোনগুলোকে। আর মস্কোর এই হামলায় ক্ষতি হচ্ছে মার্কিন ট্যাঙ্কগুলোর। ইতিমধ্যেই ৩১টির মধ্যে ৫টি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে মোদির মন্তব্য, পালটা মুখ খুলল লালফৌজ]
এনিয়ে মার্কিন সেনার দুই আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, "যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন ইউক্রেনের কোথাও আপনারা নির্ভয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না। এখন রাশিয়া নজরদারি ড্রোনের ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে। রুশ ফৌজ মার্কিন ট্যাঙ্কগুলো শনাক্ত করে দ্রুত হামলা করছে। ফলে ট্যাঙ্কগুলোকে রক্ষা করা ইউক্রেনের পক্ষে কঠিন হয়ে উঠেছে।" জানা গিয়েছে, মস্কোর আক্রমণের পালটা দিতে নতুন রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করছে আমেরিকা ও ইউক্রেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই ইউক্রেনের বুকে ফের ভয়াবহ আঘাত হানে রাশিয়া। রুশ মিসাইল হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ১৭ জন। আহত হন কমপক্ষে ৬১ জন। এই ঘটনায় নিজেদের দুর্বল বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেই দুষেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ক্ষোভ উগরে তিনি বলেছিলেন, “যদি আমাদের পর্যাপ্ত বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকত তাহলে এই হামলা ঠেকানো যেত।" এবার এই রাশিয়ার ড্রোনের ভয়ে যুদ্ধের ময়দান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে মার্কিন ট্যাঙ্ক।