সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হুমকি চিঠির পর ‘রক্তমাখা বাক্স’। ইউরোপ জুড়ে ইউক্রেনের দূতাবাসে আসছে একের পর এক রহস্যজনক পার্সেল। এখনও পর্যন্ত সব ক’টি বাক্সেই পাওয়া গিয়েছে পশুর চোখ। কয়েকটিতে মিলেছে চিঠিবোমাও। সম্প্রতি, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের ইউক্রেনীয় দূতাবাসে চিঠিবোমা বিস্ফোরণে একজন আধিকারিক আহত হন।
ইউক্রেনের (Ukraine) বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, গোটা ইউরোপ জুড়ে বেশ কয়েকটি দেশে তাদের দূতাবাস ও কনস্যুলেটে ‘রক্তমাখা’ পার্সেল পাঠানো হয়েছে। বাক্সগুলিতে পশুর চোখ রয়েছে। কে বা কারা এ সমস্ত পার্সেল পাঠিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। মন্ত্রকের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো জানিয়েছেন, পার্সেলগুলো পাওয়া গিয়েছে- হাঙ্গেরি, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, অস্ট্রিয়া ও স্পেনের ইউক্রেন দূতাবাস ও কনস্যুলেটে। চেক প্রজাতন্ত্রের পুলিশও এমন পার্সেল পাওয়ার কথা জানিয়েছে। নিকোলেঙ্কো ফেসবুকে এক বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘আমরা এই বার্তার মানে কি তা খতিয়ে দেখছি।’
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দু’মাসের মধ্যেই বড় ধাক্কা, নির্বাচনে হারতে হল সুনাকের দলকে]
ইউরোপে ইউক্রেনের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলিকে সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। নাম না করে রাশিয়ার (Russia) দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। এটাকে সন্ত্রাস ছড়ানোর পরিকল্পিত পদক্ষেপ বলে তোপ দেগে তাঁর কথায়, “ইউক্রেনের দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলিতে ত্রাস সৃষ্টি করা এবং তাদেরকে ভীত-সন্ত্রস্ত করার এক সুপরিকল্পিত অভিযান চলছে।”
দু’দিন আগেই (৩০ নভেম্বর) স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের ইউক্রেন দূতাবাসে চিঠিবোমা বিস্ফোরণে একজন আধিকারিক আহত হন। স্পেনের বম্ব স্কোয়াড এরকম অন্তত পাঁচটি চিঠিবোমা শনাক্ত করেছে। গত বৃহস্পতিবার পঞ্চম চিঠিবোমাটি নিস্ক্রিয় করা হয়। বিস্ফোরকের হুমকি মোকাবেলায় জোরদার করা হয় নিরাপত্তাও। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নিকোলেঙ্কো বলেছেন, পার্সেলগুলো একধরনের রঙিন এবং গন্ধযুক্ত তরলে ভেজানো। তিনি আরও জানান, ভ্যাটিকানে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের ফ্ল্যাটের প্রবেশদ্বারে ভাঙচুর হয়েছে। রোমে ইউক্রেন দূতাবাসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভবনের দরজার সামনে মানুষের মল ফেলে রাখা হয়েছে।